ঢাকা, বাংলাদেশ

শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪

English

নারী নির্যাতন

২০২১ সালে ১ হাজার ১১৭ কন্যাশিশু ধর্ষণের শিকার

প্রকাশিত: ০০:০০, ২৮ মার্চ ২০২২

২০২১ সালে ১ হাজার ১১৭ কন্যাশিশু ধর্ষণের শিকার

উইমেনআই২৪ ডেস্ক: ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃতু্যদন্ড হওয়া সত্ত্বেও ধর্ষণের ঘটনা ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। ২০২১ সালে এক হাজার ১১৭ কন্যাশিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে একক ৭২৩, দলবদ্ধ ১৫৫, প্রতিবন্ধী ১০০ ও অন্যান্যভাবে ১৩৯ জন কন্যাশিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ২০২০ সালে ধর্ষণের শিকার কন্যাশিশুর সংখ্যা ছিল ৬২৬ জন। ২০২০ সালের তুলনায় ২০২১ সালে কন্যাশিশু ধর্ষণের হার বৃদ্ধি পেয়েছে শতকরা ৭৪ দশমিক ৪৩ ভাগ।

জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে। জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের ২০২১ সালের কন্যাশিশু পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। 

রবিবার (২৭ মার্চ)  রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে প্রতিবেদন তুলে ধরেন ফোরামের সম্পাদক নাছিমা আক্তার জলি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২১ সালে ১১৬ কন্যাশিশু যৌন হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার হয়েছে। ২০২০ সালের তথ্য মোতাবেক, যৌন হয়রানির শিকার হয়েছিল ১০৪ জন। পরিসংখ্যান বলছে, গত বছরের তুলনায় এ বছর যৌন হয়রানি বৃদ্ধির হার প্রায় ১২ শতাংশ। নির্যাতনগুলোর অধিকাংশই সংঘটিত হয়েছে রাস্তায়, নিজের বাসায়, নিকটতম আত্মীয়-পরিজন ও গৃহকর্তার দ্বারা। যৌন নির্যাতনে অপেক্ষাকৃত নতুন ধরন পর্নোগ্রাফি। ২০২১ সালে পর্নোগ্রাফির শিকার হয়েছে ৫২ কন্যাশিশু। ২০২১ সালে এসিড আক্রমণের শিকার হয়েছে ১০ কন্যাশিশু। পারিবারিক বিবাদ, প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হওয়া, সম্পত্তি সংক্রান্ত আক্রোশের কারণে এসিড নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যায়। অপহরণ ও পাচারের শিকার হয়েছে ২০৬ কন্যাশিশু। এর মধ্যে অপহরণের শিকার ১৯৭ জন। ২০২০ সালের আগস্ট থেকে ২০২১ নভেম্বর পর্যন্ত মোট বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে ২ হাজার ৮৬৮ কন্যাশিশু। গড়ে প্রতিটি ইউনিয়নে ২১ জন কন্যাশিশু বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে যা ২০১৯ সালের তুলনায় ১৪ দশমিক ৫৮ শতাংশ বেশি। অন্যদিকে ২০১৯ সালে বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছিল ২ হাজার ৫০৩ কন্যাশিশু। ২০২১ সালে যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার হয়েছে ১৭ কন্যাশিশু। এরমধ্যে যৌতুক দিতে না পারায় ৯ জনকে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়াও ২০২১ সালে গৃহশ্রমিক নির্যাতনে ৩৫টি ঘটনার খবর জানা গেছে। এরমধ্যে ১৮ জনকে শারীরিক নির্যাতন, ৫ জনকে নির্যাতনের পর হত্যা ও ১২ জন যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে। ২৪২ কন্যাশিশু আত্মহত্যা করেছে। ২৭২ জনকে হত্যা করা হয়েছে এবং ৩৫ কন্যাশিশুকে বিভিন্ন স্থানে ফেলে রেখে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে। সংবাদ সম্মেলন থেকে সরকারের কাছে ১০ দফা সুপারিশ জানিয়েছে ফোরামটি। সুপারিশগুলো হলো-শিশু নির্যাতন, ধর্ষণ ও হত্যার সব ঘটনাকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়ে দ্রম্নততম সময়ের মধ্যে বিচারিক কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে। উত্ত্যক্তকরণ, যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন রোধে সর্বস্তরের জন্য ?'যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন' নামে একটি আইন জরুরি ভিত্তিতে প্রণয়ন করতে হবে। ধর্ষণ, ধর্ষণ চেষ্টা, মামলা ও ধর্ষণ সংশ্লিষ্ট সব প্রকার অভিযোগের ক্ষেত্রে, ঘটনার শিকার কন্যাশিশু ও নারীর পরিবর্তে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হবে ও আইনের আওতায় আনতে হবে। নারী ও শিশুকে অপদস্থ না করে অভিযুক্তের কাছে প্রমাণ চাইতে হবে যে, সে অপরাধী না। এ সম্পর্কিত প্রচলিত আইনের বিধান সংশোধন করতে হবে। সব ধরনের পর্নোগ্রাফির সাইট বন্ধসহ পর্নোগ্রাফির বিরুদ্ধে আইনের কঠোর প্রয়োগ করতে হবে। কন্যাশিশু নির্যাতনকারীদের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়া বন্ধ করতে হবে।

এছাড়া, শিশু সুরক্ষায় শিশুদের জন্য একটি পৃথক অধিদপ্তর গঠন করতে হবে। করোনাকালে আর্থিক সংকটের কারণে অভিভাবকরা নাবালক কন্যাদের বিয়ে দিচ্ছে, ফলে বাল্যবিয়ে বহুগুণে বেড়েছে, সোশাল সেফটিনেটের বাজেট বৃদ্ধি করে অগ্রাধিকারভিত্তিতে কন্যাশিশু ও তাদের অভিভাবকদের এর আওতায় আনতে হবে। বাল্যবিয়ে বন্ধে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারি বৃদ্ধির পাশাপাশি সামাজিক এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা কার্যক্রম বৃদ্ধি করতে হবে। নির্যাতন বন্ধে বিদ্যমান আইনের সঠিক ও কঠোর প্রয়োগ বাস্তবায়ন করতে হবে এবং ক্রমবর্ধমান কন্যাশিশু ও নারী নির্যাতন প্রতিরোধে নারী-পুরুষ, সরকার, প্রশাসন, নাগরিক সমাজ, মিডিয়া পরিবার সবার ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের সভাপতি বদিউল আলম মজুমদার বলেন, দুর্ভাগ্য হলেও সত্য, এসব অপকর্ম যারা করে তারা রাজনৈতিক আশ্রয়-প্রশ্রয়ে পার পেয়ে যায়। ভুক্তভোগীদের অনেকে থানা-পুলিশ পর্যন্ত যেতে চান না। করোনাকালে বাল্যবিয়ে, নারী-শিশু নির্যাতন ভয়াবহভাবে বেড়েছে। ব্র্যাকের জেন্ডার জাস্টিস অ্যান্ড ডাইভার্সিটি কর্মসূচি এবং প্রিভেন্টিং ভায়োলেন্স অ্যাগেইনস্ট উইমেন ইনিশিয়েটিভের পরিচালক নবনীতা চৌধুরী বলেন, পত্রিকায় যেসব খবর ছাপা হয়েছে, প্রতিবেদনে শুধু সেসব তথ্যই অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই সংখ্যা প্রকৃত সংখ্যার চেয়ে অনেক কম। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন গুডনেইবারস বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর মাঈনুদ্দিন মাইনুল ও কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স অ্যান্ড কমপস্নায়েন্স-এডুকো বাংলাদেশের হেড অব এডুকেশন গোলাম কিবরিয়া।

উইমেনআই২৮//ইউ//২৮-০৩-২০২২//০৩:৩৩ পিএম//

টাঙ্গাইলে শাড়ি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তাঁতীরা

নারী শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার হার ৩৪.৮৭ শতাংশ

বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর পৌনে ৪ কিলোমিটার দৃশ্যমান

সেতু থেকে খাদে পড়ে বাসে আগুন, নিহত ৪৫

রাজধানীতে ঝাল কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের

৮ এপ্রিলের ট্রেনের টিকিট পাওয়া যাচ্ছে আজ

ঈদ যাত্রার ২৮ হাজারের বেশি টিকিট বিক্রি 

কোন দূর্নীতিকে প্রশ্রয় দেব না: বিএসএমএমইউ ভিসি

বিএসএমএমইউতে সভা ও জাতীয় সম্মেলন  অনুষ্ঠিত 

 ইন্টার্ন চিকিৎসকরাই একটি হাসপাতালের প্রাণ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

এক চুমুতে আড়াই বছরের জেল!

ঢাবির কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটে প্রিয়ন্তি প্রথম

ডিজিটাল সুরক্ষা বিষয়ক প্রশিক্ষণ সম্পন্ন

নারীর নিরাপদ কর্মক্ষেত্র নিশ্চিতে পুরুষদের সম্পৃক্তের আহ্বান

ঢাবির সব ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ