
ফাইল ছবি
জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে উত্তপ্ত রাজনৈতিক অঙ্গনে শান্তিপূর্ণ সমঝোতার বার্তা দিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তিনি দলীয় নেতাদের পরামর্শ দিয়েছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে কোনো ধরনের বিরোধে না জড়িয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান খোঁজার।
গত ৭ জুন ঈদুল আজহার দিন গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজা’-তে দলের স্থায়ী কমিটির নেতাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে এই বার্তা দেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
তিনি বলেন, ‘চেয়ারপারসন বলেছেন, আমাদের ড. ইউনূসের সঙ্গে বিরোধের কী প্রয়োজন? তারা কি আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বী? আলোচনা করেই সমস্যাগুলোর সমাধান করতে হবে।’
দলটির অন্য একাধিক শীর্ষ নেতা জানান, নির্বাচন তারিখ নিয়ে বিরোধ এড়িয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান খোঁজার পক্ষে মত দিয়েছেন বিএনপি নেত্রী। বিশেষ করে ড. ইউনূসের সঙ্গে সম্পর্কের যে দূরত্ব তৈরি হয়েছে, তা ঘুচিয়ে সমঝোতার আহ্বান জানান তিনি।
উল্লেখ্য, বর্তমানে চারদিনের সফরে লন্ডনে অবস্থান করছেন ড. ইউনূস। আগামী ১৩ জুন সেখানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে তার গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। এই বৈঠকে আগামী নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ইস্যু নিয়ে আলোচনা হবে বলে দলীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে।
বিএনপি নেতারা বলছেন, প্রধানত নির্বাচন কবে হবে এই বিষয়ে সরকারের সঙ্গে তাদের একমাত্র মতপার্থক্য। ড. ইউনূস যেখানে এপ্রিল ২০২৬-এ নির্বাচন চান, বিএনপি সেখানে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই ভোট অনুষ্ঠানের দাবি জানিয়ে আসছে। দুই পক্ষ এক-দুই মাস ছাড় দিলে সমাধানের পথ তৈরি হতে পারে বলেও তারা মনে করছেন।
এ প্রসঙ্গে ড. মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আমরা যে এজেন্ডাগুলো নিয়ে এতদিন আলোচনা করেছি, সেগুলো দলের স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্তে হয়েছে। এখন ইউনূস-তারেক বৈঠকে ওই বিষয়গুলোই প্রাধান্য পাবে।’
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই সম্ভাব্য বৈঠককে ‘গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট’ হিসেবে উল্লেখ করে বলেছেন, ‘জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এই মিটিংয়ের গুরুত্ব অনেক। এটি অনেক সমস্যার সমাধান এনে দিতে পারে। আমরা দলের পক্ষ থেকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে পূর্ণ অধিকার দিয়েছি।’
রাজনীতির উত্তাল সময়ে এই সমঝোতার বার্তা রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এখন দেখা যাক, ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠকে কতটা অগ্রগতি আসে।
ইউ