ছবি সংগৃহীত
সংসদের বিরোধী দলের নেতা জি এম কাদের বলেছেন, ‘প্রকৌশল পেশার মানোন্নয়নে বিরোধী দল কাজ করবে৷ বিভিন্ন জায়গায় আমরা তুলে ধরবো। প্রশাসনের লোকেরা প্রকৌশলীদের কাজ নিয়ে যায়৷ এই সমস্যা পাকিস্তানের কর্মকর্তাদের সাথেও ছিল।’ তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানি শাসন পদ্ধতি ছিল কেন্দ্রভিত্তিক। তখন সিএসপি কর্মকর্তারা সব কাজ করতে চাইতো। এক সময় আইইবি শক্তিশালী ছিল বলেই ডিসিরা প্রকৌশলীদের পেছনে ঘুরতো। সেই জন্যই প্রকৌশলীরা ঐক্যবদ্ধ হতে হবে৷ আইইবি আরও বেশি শক্তিশালী হতে হবে।’
জি এম কাদের বলেন, ‘সব কিছু বাদ দিয়ে প্রকৌশলীদের পেশাদারিত্বের প্রমাণ দিতে হবে৷ প্রকৌশল সংস্থায় প্রকৌশলীদের যোগ্য স্থান দিতে হবে। প্রকৌশল কাজ অপ্রকৌশলীরা করতে পারে না। পানি লাইন তো অপ্রকৌশলীরা ঠিক করতে পারবে না। কর্মকর্তাদের শক্তি আছে, থাকবে। প্রকৌশলীরাই প্রথম সেটা জোরে বলতে হবে৷ প্রকৌশলীরা সব কাজ করবে কিন্ত সুবিধা নিবে প্রশাসনের মানুষ। এটা অন্যায়। প্রধানমন্ত্রী কার্যলয়ে প্রকৌশলীদের সুযোগ করে দিতে হবে।’
সোমবার (১৩ মে) রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের ৬১ তম কনভেনশনের সমাপনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রকৌশলী জিএম কাদের বলেন, আমি একজন প্রকৌশলী। প্রকৌশল আমার জীনে রয়েছে। আইইবির আজীবন সদস্য হিসেবে এখানে আসি। আইইবি দেশের ঐতিহ্যকে ধরে রেখেছেন। আইইবি সংসদীয় গণতন্ত্র চর্চা করে। গণতন্ত্রের জন্য সংসদীয় গণতন্ত্র জরুরি। গণতন্ত্র মানেই সুশাসন। সুশাসন মানেই আইনের শাসন। সুশাসনে সবাইকে জবাবদিহি করতে হয়।
তিনি আরো বলেন, সব কিছুর কেন্দ্রবিন্দু হবে সংসদ। মন্ত্রণালয়ে যারা থাকেন তারাই সরকারি বাকি সবাই বিরোধী দল। সেটা থাকলে যেকোন বিষয়ে বিরোধী দল শক্তিশালী ভূমিকা রাখতে পারে। সংসদীয় গণতন্ত্র সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে পারলে দেশের উন্নয়ন হয় দ্রুত। জনগণ এবং নেতাদের মধ্যে বিশ্বাস থাকতে হয়। গনতন্ত্র না থাকলে সুশাসন হয় না। সুশাসন না থাকলে জনগণের শান্তি থাকে না।
সমাপনী অনুষ্ঠানে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর বলেন, ‘জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে দেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধিকে এগিয়ে নিতেই এই কনভেনশন। আলোচনা, পরামর্শ ও লার্নিং শেয়ার করার মাধ্যমে দেশ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্যই আইইবি এই কনভেনশনের আয়োজন করে। টেকনোলজি বিশেষ করে ন্যানো টেকনোলজি, এ আই, রোবটিক্সসহ আধুনিক প্রযুক্তিতে প্রকৌশলীদের ভূমিকা ও সরকারের সাথে সমান্তরালে এগিয়ে যাওয়াই আইইবির লক্ষ্য৷ তথ্যের নিরাপত্তা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির বাংলাদেশ তৈরি করতেই প্রকৌশলীরা কাজ করে যাচ্ছেন। প্রকল্পের স্বচ্ছতা জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতেও এ আই ব্যবহার বাড়াতে হবে৷ সরকার ও বিরোধী দলের যৌথ প্রচেষ্টায় এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।’
উল্লেখ্য, ১১ মে (শনিবার) ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি ফর স্মার্ট বাংলাদেশ শীর্ষক ৬১তম কনভেনশন উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা। 'দ্য ইঞ্জিনিয়ার্স ফর ট্রান্সফর্মিং টেকনোলজি ড্রাইভেন স্মার্ট বাংলাদেশ' প্রতিপাদ্য বিষয়ে জাতীয় সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়৷
ইউ