ছবি: সাবেক বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক...
বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে দেশ থেকে বের করে দেয়া উচিত বলে উল্লেখ করেছেন আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক।
২৬ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) রাতে বেসরকারি একটি টেলিভিশনের টকশোতে অংশ নিয়ে তিনি এই কথা বলেন। এদিকে বাংলাদেশে ফের অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের তাগিদ দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। নিউইয়র্ক স্থানীয় সময় ২৫ সেপ্টেম্বর (সোমবার) জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনের সাইড লাইনে বৈঠক করেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশ দপ্তরের নাগরিক নিরাপত্তা, মানবাধিকার ও গণতন্ত্রবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি আজরা জেয়া ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।
আজরা বলেন, ‘জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের সাইড লাইনে বাংলাদেশের বিদেশ সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। প্রসঙ্গত, মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি আজরা জেয়া চলতি বছর জুলাইয়ে বাংলাদেশ সফর করেছেন।
বিচারপতি মানিক যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি নিয়ে বলেন, ‘বাস্তবতা হলো তাদের কোনো অধিকার নেই। সুতরাং দে মাস্ট বি কোয়াইট। তারা চুপ করে থাকবে। আমি যেটা বললাম, তাদের ভিসানীতি দেখে দিনের শেষে কিন্তু তারাই লজ্জিত হবে। আর হিউম্যান রাইটসের কথা, যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে আমাদের হিউম্যান রাইটস অনেক বেশি। যে দেশে প্রতিদিন পুলিশ কালো লোকদের গুলি করে মারছে। এগুলো কী আমরা চোখে দেখি না! তাই আমাদের এখন উচিত তাদের ইগনোর করা এবং তাদের যে রাষ্ট্রদূত এগুলো কথা বলছে তাকে বের করে দেয়া।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমার কথা খুব সোজাসাপটা। তাকে বের করে দেয়া। যেহেতু তিনি আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করছেন, ডিপ্লোম্যাটিক আইন লঙ্ঘন করছেন তাই তাকে বলা উচিত, ইউ কিপ কোয়াইট (চুপ করে থাক) অথবা ইউ লিভ ইন কান্ট্রি (দেশ থেকে চলে যাও)।’
সাবেক বিচারপতি আরো বলেন, ‘আমরা কারও কলোনি না। আমরা স্বাধীন সার্বভৌম দেশ। আমাদের ইউনাইটেড নেশনের যে ইস্ট্যচুড আছে। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে প্রতিটি দেশই সমান। ছোট হোক, বড় হোক, ধনী হোক কিংবা গরিব হোক প্রতিটা দেশই সমান। সবচেয়ে বড় কথা ইউনাইটেড নেশনের সনদ যেটা আছে সেটা প্রত্যেকটা দেশকে মানতে হবে।’
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ করা শুরু করছে যুক্তরাষ্ট্র। ২২ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) মার্কিন বিদেশ দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার এক বিবৃতিতে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রক্রিয়া শুরুর কথা জানান। এর পরই ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গটি ‘টক অব দ্য কান্ট্রি’তে পরিণত হয়।
ইউ