ঢাকা, বাংলাদেশ

শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

English

জাতীয়

‘এখনো দেশে এবং দেশের বাইরে যড়যন্ত্র চলছে’

উইমেনআই২৪ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৬:৪৭, ৭ জুন ২০২৩; আপডেট: ১৬:৪৯, ৭ জুন ২০২৩

‘এখনো দেশে এবং দেশের বাইরে যড়যন্ত্র চলছে’

ছবি: জাতীয় প্রেসক্লাবে আব্দুস সালাম হলে ‘৬ দফা : বাঙালির মুক্তির সনদ’’ শীর্ষক আলোচনা সভায়...

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ‌‘বঙ্গবন্ধু সবার সঙ্গে যোগাযোগ রেখে কাজ করেছেন। তিনি কখনো কোনো বিষয়ে এককভাবে সিদ্ধান্ত নেননি। যখনই তিনি কোনো কাজ করেছেন, তখনই বুদ্ধিজীবীসহ অন্যান্য সেক্টরের যারা আছেন তাদের মতামত নিয়েছেন। সবার মতামতের ভিত্তিতেই তিনি সামনে এগিয়ে গেছেন।’

ডা. দীপু মনি বলেন, ‘৭ জুন, ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষিত বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ ছয় দফা দাবির পক্ষে দেশব্যাপী তীব্র গণআন্দোলনের সূচনা হয়েছিল ১৯৬৬ সালের এই দিনে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি তাসখন্দ চুক্তিকে কেন্দ্র করে লাহোরে অনুষ্ঠিত সম্মেলনের সাবজেক্ট কমিটিতে ছয় দফা উত্থাপন করেন এবং পরের দিন সম্মেলনের আলোচ্য সূচিতে যাতে এটি স্থান পায় সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেন। কিন্তু, এই সম্মেলনে বঙ্গবন্ধুর এ দাবির প্রতি আয়োজক পক্ষ গুরুত্ব প্রদান করেনি। তারা এ দাবি প্রত্যাখ্যান করে। প্রতিবাদে বঙ্গবন্ধু সম্মেলনে যোগ না দিয়ে লাহোরে অবস্থানকালেই ৬-দফা উত্থাপন করেন। এ নিয়ে তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের বিভিন্ন খবরের কাগজে বঙ্গবন্ধুকে বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা বলে চিহ্নিত করা হয়। পরে ঢাকায় ফিরে বঙ্গবন্ধু ১৩ মার্চ ছয় দফা এবং এ ব্যাপারে দলের অন্যান্য বিস্তারিত কর্মসূচি আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদে অনুমোদন করিয়ে নেন।’

বুধবার (৭ জুন) বঙ্গবন্ধু পরিষদ আয়োজিত জাতীয় প্রেসক্লাবে আব্দুস সালাম হলে ‘৬ দফা : বাঙালির মুক্তির সনদ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি আ আ ফ ম আরেফিন সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী আরো বলেন, ‘৬-দফার মূল বক্তব্য ছিল প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্র বিষয় ছাড়া সব ক্ষমতা প্রাদেশিক সরকারের হাতে থাকবে। পূর্ববাংলা ও পশ্চিম পাকিস্তানে দু’টি পৃথক ও সহজ বিনিময়যোগ্য মুদ্রা থাকবে। সরকারের কর, শুল্ক ধার্য ও আদায় করার দায়িত্ব প্রাদেশিক সরকারের হাতে থাকাসহ দুই অঞ্চলের অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রার আলাদা হিসাব থাকবে এবং পূর্ব বাংলার প্রতিরক্ষা ঝুঁকি কমানোর জন্য এখানে আধা-সামরিক বাহিনী গঠন ও নৌবাহিনীর সদর দফতর স্থাপন করতে হবে।’

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ঘোষিত ছয় দফা দাবির মুখে পাকিস্তানের তৎকালীন সামরিক শাসক আইয়ুব খান বিচলিত হয়ে পড়েন। তিনি হুমকি দিয়ে বলেন, ছয় দফা নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে অস্ত্রের ভাষায় উত্তর দেয়া হবে। এদিকে, ছয় দফা কর্মসূচি জনগণের মাঝে পৌঁছে দেয়ার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ সমগ্র পূর্ববাংলা সফর করেন এবং ছয় দফাকে বাঙালির বাঁচার দাবি হিসেবে অভিহিত করেন। ফলে, শাসকগোষ্ঠী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ অন্যান্য নেতাকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করে। যশোর, ময়মনসিংহ ও সিলেটসহ অন্যান্য কয়েকটি স্থানে ছয় দফার পক্ষে প্রচারকালে বঙ্গবন্ধু গ্রেপ্তার হন।’

তিনি বলেন, ‘এখনো দেশে এবং দেশের বাইরে যড়যন্ত্র চলছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে।’

দীপু মনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর মতই তার কন্যা শেখ হাসিনা অবিসংবিধানিক নেতা। তাই ৭ জুন ঐতিহাসিক দিন আজকের এই দিনে আমাদের শপথ নেওয়ার দিন। পিতা যেমন স্বাধীন রাষ্ট্র দিয়ে গেছেন, তেমনি কন্যা দেশের মানুষকে অর্ধনৈতিক মুক্তির সংগ্রামে লড়াই করছেন।’ তাই সবাইকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বেও প্রতি অবিচল থাকার আহ্বান করেন তিনি।

সম্মানিত অতিথি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৬-দফা  মধ্য দিয়ে বাঙালির মুক্তির সনদের স্বাধীনতার বীজ বপন করেন।’

ডা. শারফুদ্দীন বলেন, ‘স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা মানুষের সহজাত দাবি। আধুনিক সমাজ ও সংস্কৃতির প্রসারের সঙ্গে সঙ্গে মানুষ নিজ নিজ অধিকার ও মর্যাদা সম্পর্কে সচেতন হয়। পাশ্চাত্যে এই সচেতনতার বিকাশ ঘটেছিল বঙ্গবন্ধুর ৬ দফায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের মুক্তি যুদ্ধে স্বাধীনতার যেভাবে বিরোধিতা করেছেন বহির্বিশ্বের যড়যন্ত্রকারীদের সঙ্গে দেশীয় দোসরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট হত্যা করেছিলো সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের উন্নয়নকে। আজ স্বাধীনতার ৫২ বছরের এসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়নকে ধ্বংস করার লক্ষে প্রতিদিন স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি চক্রান্ত করে যাচ্ছে।’ তিনি সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, লাহোর প্রস্তাব এর মধ্য দিয়ে পূর্ণ স্বায়ত্তশাসিত শাসন চেয়েছিলেন। ১৯৪৭ সালে দেশভাগ হয়েছিলো। তিনি বলেছিলেন- প্রদেশগুলোকে সব অধিকারের দাবি করেন। পাকিস্তানিরা পূর্ব বাংলায় অধিক মূল্যে বিক্রি করতেন তার প্রতিবাদ করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ৬ দফার সব দাবি দাওয়া এককভাবে বঙ্গবন্ধু নিজে লিখেছেন এবং উত্থাপিত করেন। ভাষা আন্দোলনে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে যারা ছিলেন তাদের সন্তানেরা এখনও বিরোধিতা করছেন। এখনো ষড়যন্ত্র চলছে!

সাংবাদিক কলামিস্ট ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষক অজয় দাসগুপ্ত বলেন, ‘এমন এক সময় আমরা পার করেছি যখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম নেয়া নিষিদ্ধ ছিলো। ১৯৬৯ এর গণঅভ্যুত্থানের রূপ ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ। সাধারণ মানুষ বঙ্গবন্ধুর ডাকে সারা দিয়ে অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছিলেন।

তিনি বলেন, ‘সেদিন  শিক্ষিত লোকের সংখ্যা খুবই কমছিলো। বাংলাদেশের বাইরে যেসব মেধাবীরা বসবাস করছিলেন তাদের ফিরিয়ে আনার দাবি করা হয়। নেতৃত্বের কাছে। 

অজয় দাসগুপ্ত ১৯৭১ এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে যারা আত্মহতি দিয়েছেন তাদের জাতির সামনে তুলে ধরার আহ্বান করেন। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)-এর পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফীন সিদ্দিক বলেন, ‘ছয় দফাই এনে দিয়েছে আমাদের তথা বাংলাদেশের স্বাধীনতা। বঙ্গবন্ধুর দূরদৃষ্টি, অন্তঃদৃষ্টি ও রাজনৈতিক বিচক্ষণতা এতই প্রখর ছিল যে তিনি ছয় দফাকে এক দফা দাবিতে পরিণত করে বাংলার স্বাধীনতার আন্দোলনের ডাক দেন।

ইউ

বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা

টাঙ্গাইল শাড়িসহ ১৪টি জিআই পণ্যের সনদ বিতরণ

জিআই স্বীকৃতি পেল রাজশাহীর মিষ্টি পান

চুয়াডাঙ্গায় হিটস্ট্রোকে সার্জেন্টের মৃত্যু

দীর্ঘ তাপপ্রবাহে রেকর্ড, কতদিন থাকবে জানাল অধিদপ্তর

শিক্ষক নিয়োগে চুক্তি ১৪ লাখ টাকায়, ঢাবি শিক্ষার্থীসহ গ্রেপ্তার

এই গরমে কাঁচা আম খেলে যেসব উপকার পাবেন

রোজ ৫০টি চড়-থাপ্পড়েই বাড়বে নারীদের সৌন্দর্য!

নুসরাত ফারিয়াকে নিয়ে মেলবোর্নের পথে জায়েদ খান

মিলারদের কারসাজিতে বাজারে সয়াবিন তেলের সংকট: ক্যাব

শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস: ঢাবি শিক্ষার্থীসহ গ্রেফতার ৫

চুয়েট বন্ধ ঘোষণা, শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ

বগুড়ায় বোরো ধানের সোনালী রঙে কৃষকের হাসি

বঙ্গোপসাগরে কার্গো জাহাজ ডুবি

হাতিয়ায় সৈকতে দেখা মিলল ‘ইয়েলো বেলিড সি স্নেক’