ঢাকা, বাংলাদেশ

সোমবার, , ২৩ জুন ২০২৫

English

লাইফস্টাইল

ব্যক্তিত্বই সৌন্দর্য

​​​​​​​নাসিমা মুন্নী

প্রকাশিত: ১১:৫২, ২১ নভেম্বর ২০২৩

ব্যক্তিত্বই সৌন্দর্য

ছবি সংগৃহীত

মানুষ সবসময় সুন্দরের পূজারি। কিন্তু সৌন্দর্যের ধারণা স্থান, কাল, পাত্রভেদে ভিন্ন। যুগে যুগে, জাতিতে জাতিতে, এমনকি মানুষে মানুষেও সৌন্দর্যের ধারনা এক নয়। গায়ের রং নিয়ে বর্ণবৈষম্যে দেশ বিদেশে শত বছর ধরে সংগ্রাম চলমান আছে। তাইতো বিভিন্ন প্রসাধনী সামগ্রীর বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানগুলো নারীদের উপস্থাপন করছে পণ্য হিসেবে। যেখানে চাপা পড়ে যাচ্ছে নারীর ব্যক্তিত্ব,  শিক্ষা, মেধা,  বুদ্ধি, আচরণ, দক্ষতা ও যোগ্যতা।  

একদিকে কালো রংয়ের মেয়েদের নিয়ে আমাদের পরিবারে, সমাজে যত বিড়ম্বনা, সুন্দর রংয়ের মেয়েদের  নিয়ে তারচেয়েও বেশি বিড়ম্বনা দেখা যায়। অসংখ্য উদাহরণ আমাদের চারপাশে সমাজে বিদ্যমান। সুন্দর বা ফর্সা রংয়ের মেয়ের জন্মের পর থেকেই নানা বিড়ম্বনা শুরু হয়। শৈশব কৈশোরে তাকে মা বাবা আগলে রাখতে হয়। স্কুল, কলেজ, কোচিং, প্রাইভেট, সাংস্কৃতিক অঙ্গনের সকল জায়গায় মা বাবা সঙ্গে করে আনা নেওয়া করতে হয়। একাকী কোথাও নিরাপত্তার অভাবে যেতে দেওয়া হয়না। রাস্তাঘাটে বখাটে ছেলেদের উত্যক্ত করা, বাড়ির আশেপাশে বখাটেদের আনাগোনা, স্কুল- কলেজে প্রেমের প্রস্তাব নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়ায়। অনেক সময় এসব বিড়ম্বনা ঠেকাতে সুন্দর মেয়েদের বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয় খুব অল্প বয়সে। তাই অনেক সময় সুন্দর মেয়েদের পড়ালেখা বেশি দূর এগোয় না। উচ্চশিক্ষাও তারা নিতে পারে না। আবার উচ্চশিক্ষিত হলেও অনেক সময় বিয়ের পর চাকরি করতে দেওয়া হয় না। আবার যদিও চাকরি করার অনুমতি মেলে, সেটাও হয় নির্দিষ্ট কয়েকটি সেক্টরে।

বিয়ের পরও সুন্দর মেয়েদের চলাফেরায় নানা প্রতিবন্ধকতা দেখা যায়। পরিবারের বাইরে একা কোথাও যেতে দেওয়া হয় না। ভালো কলেজ বা ইউনিভার্সিটিতে পড়া বাদ দিয়ে বাড়ির কাছের  কলেজ বা ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি করানো হয়। দ্রুত সন্তান নিয়ে মেয়েটিকে থিতু করা হয়। একসময় সন্তান লালন পালন, সংসার ম্যানেজ  করতে গিয়ে মেয়েটির আর লেখাপড়া সম্পূর্ণ করা হয় না। একদিন হয়তো মেয়েটি ভেবেছিল উচ্চশিক্ষা সম্পূর্ণ করে চাকরি করবে, সে স্বপ্ন ততোদিনে ধূসর হয়ে যায়।

আমাদের সমাজে একটা প্রচলিত ধারণা আছে কম বয়সী মেয়ে বিয়ে করলে ম্যানেজ করা যায়। পুরুষেরা নিজের মতো পরিচালনা করতে পারে। কম শিক্ষিত মেয়েদেরও পুরুষেরা নিজের মত পরিচালনা করতে পারে। বেশি শিক্ষিত মেয়েরা কারো কথা মতো চলে না। আসলে কি তাই।

কখনো কখনো সুন্দর নারীর জীবন সুন্দর করে সাজানো থাকে না। সিন্ডারেলার মতো রাজকুমার এসে নিয়ে গেলেও জীবনে চলার পথে হোঁচট খায়, স্বামী মারা যায় বা বিবাহ বিচ্ছেদ হয়, তখন চারপাশের সবাই মেয়েটিকেই দোষারোপ করে। মেয়েটিকে মানিয়ে নিতে বলে। মেয়েটি একা চলার জন্য যা কিছু প্রয়োজন তখন তার অবশিষ্ট কিছুই থাকে না। যা সে অনেক আগেই  খুইয়ে বসেছে বিগত সময়ে। তার আত্মবিশ্বাস আর আগের মতো থাকে না। তার আত্মবিশ্বাস ভেঙে দেয়া হয়েছে অনেক আগেই। শিক্ষার পাঠও হয়তো মেয়েটি পরিপূর্ণ করতে পারেনি। আর্থিক পুঁজিও নেই। তখন মেয়েটি চারদিকে শুধু অন্ধকার দেখে।

সুন্দর মেয়েদের লেখাপড়াও অনেক সময় অভিভাবকদের অসচেতনতা আর দুশ্চিন্তা আর উচ্চাকাঙ্ক্ষার কারণে এগোয় না। বিয়েই যে একটা মেয়ের জীবনে সব কিছু না, তা অভিভাবকদের বুঝাবে কে। কিছু কিছু এলাকায় ফর্সা বা সুন্দর মেয়েদের  ইন্টারমিডিয়েট পড়া শেষ না হতেই বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়। আবার কোনো মেয়ে ইন্টারমিডিয়েট শেষ করে হয়তো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে তখনি বিয়ে দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কারো কারো মতে সুন্দর মেয়েদের ঘরে ধরে রাখতে নেই। সুন্দর মেয়েদের ঘরে রাখা বিপদ আর অভিভাবকদের ধারণা, সবসময় ভালো উপযুক্ত পাত্র পাওয়া যায় না।

আমাদের সমাজে মাস্টার্স সম্পন্ন করা চাকরিজীবী ছেলেদের পছন্দের তালিকায় পাত্রী থাকে ইন্টারমিডিয়েট পড়ুয়া সুন্দরী পাত্রী। আর তারা পাত্রী দেখার জন্য যার শরণাপন্ন হয়ে থাকেন, প্রথম শর্তই থাকে পাত্রী যেন ফর্সা হয়। আর পাত্রী যেন অবশ্যই  ইন্টারমিডিয়েটে পড়ে বা ইন্টারমিডিয়েট শেষ করেছে এমন হয়।

নিজের কাছের আত্মীয় স্বজনের বিয়ের জন্য দুই তিনজন বিয়ের ঘটকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হয়েছিল একসময়। ঘটক যা বললেন তা শুনে স্তম্ভিত হয়ে যাই। ঘটকেরা জানায়, একজন রিকশাচালক থেকে উচ্চ শিক্ষিত, সবার প্রথম শর্ত হলো, মেয়ে বা পাত্রী ফর্সা হতে হবে।

মা বাবারাও সুন্দর মেয়ে নিয়ে অতিরিক্ত,  উচ্চমাত্রার আশা নিয়ে বসে থাকে। সেটা মেয়েটার ক্যারিয়ার নিয়ে নয়। বরং কত তাড়াতাড়ি ভালো পাত্রস্থ করা যায় সেটা নিয়ে। আর সুন্দর মেয়ের স্বামী চায় কত তাড়াতাড়ি মেয়েটাকে তার সংসারে তিতু করা যায়। তার জন্য যত দ্রুত সম্ভব সন্তান নিয়ে মেয়েটিকে থিতু করা হয়। মেয়েরাও নিজের সুন্দরের প্রসংশায় আত্মপ্রেমে ডুব দেয়। এই নার্সিসিজম তার জীবনের যে স্বপ্ন থাকে, সে লক্ষ্যে পৌছাতে বাধা তৈরি করে। তখন মেয়েটি নিজেও জানেনা জীবনে আবেগে ভেসে বেশি দূর যাওয়া যায় না। জীবনের একটা সময়ে এসে মেয়েটা যখন বুঝতে পারে তার জীবনে শিক্ষার সুযোগ থেকে সে যেভাবে নিজেকে বঞ্চিত করেছে, সেটা তার ভুল ছিল। কারো মিথ্যা প্ররোচনায়, কারো মিথ্যা আশ্বাসে তার জীবনের গল্প থেমে যায়। নিজের মেধা আর যোগ্যতার বাস্তবায়ন করতে না  পারায়  ডিপ্রেশনে ভোগে। তখন আর কিছুই করার থাকে না।

বেশিরভাগ বিদেশে থাকা ছেলেরা বিয়ে করে ফর্সা, সুন্দর মেয়েদের। বিয়ের পর লেখাপড়া বন্ধ করে দেয় মেয়েটির। স্যোসাল মিডিয়ার কোনো মাধ্যমে তার থাকা বারণ। বেশিরভাগই বিবাহিত সুন্দর মেয়েদের ফেসবুকে কোনো আইডি থাকে না। ইমো ব্যবহার করে তারা আত্মীয় স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। তাদের যদি কখনো ফেসবুকে আইডি থাকে, সেটা লক করা থাকে এবং ফেসবুক প্রোফাইল পিকচার থাকে ফুলের, পাখির বা কোনো ডলের। কেন এতো লুকোচুরি! স্ত্রীর সুন্দরে আপনার কেন এতো ভয়!

দুনিয়াব্যাপী ফর্সা রংকে সৌন্দর্যের আদর্শ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার রাজনীতি এখনও চলমান। সেখান কালো কিংবা ফর্সা রঙের নারীকে সৌন্দর্যের প্রতীক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার পেছনে কাজ করে যাচ্ছে নাটক, সিনেমা, বিজ্ঞাপন, ফ্যাশন ম্যাগাজিন, নিউজপেপারগুলো। তাদের এই প্রচেষ্টাকে কাজে লাগিয়েছে  বিভিন্ন বাণিজ্যিক পণ্য প্রতিষ্ঠান। সৌন্দর্যহীনতার হীনম্মন্যতা সৃষ্টির মাধ্যমে বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানগুলো প্রথমে নারীকে শেখাচ্ছে নিজের চেহারাকে সুন্দর করতে। নারীর আত্মবিশ্বাসকে প্রথমে ভেঙে চুরমার করে দিয়ে তারপর তাদের উদ্বুদ্ধ করছে রং ফর্সাকারী পণ্য ব্যবহারের মাধ্যমে পুনরায় আত্মবিশ্বাস অর্জন করতে। যা নারীকে আরও অস্থির করে তুলছে। এতে নারীকে হীনম্মন্যতায় ভোগাচ্ছে।

সবসময়ই নারীর সকল সৌন্দর্য মূলত তার আত্মবিশ্বাসে। আর আত্মবিশ্বাস থেকেই সৃষ্টি হয় নারীর প্রকৃত সৌন্দর্য। নারীর সৌন্দর্য নয় বরং ব্যক্তিত্ব অনুযায়ী নিজেকে উপস্থাপন করতে পারাই নারীর অধিকার। আমাদের দেশে ফিল্মের হিরোইনদের অনেক সুন্দরী এবং মেকআপের প্রলেপে ভরপুর দেখা যায়। সময় এসেছে এখন হিরোইনদের ন্যাচারাল লুক দেখিয়ে তাদের যোগ্যতা আর মেধা তুলে ধরার। আমাদের মেয়েরা যেন যোগ্যতা সম্পন্ন একজন নারীর ফিল্ম দেখে নিজেকে সে স্বপ্নের জায়গায় দাঁড় করাতে পারে। বেশি বেশি করে আমাদের দেশের ফিল্মে কেন্দ্রীয় চরিত্রে যোগ্যতাসম্পন্ন একজন নারীকে তুলে ধরে ফিল্ম তৈরি করা খুব দরকার।

রং ফর্সাকারী ক্রিম, হাইহিল জুতো, কিংবা লিপিস্টিক আর চোখে কাজলের ভারে চাপিয়ে দেওয়া অস্তিত্ব যেন কেড়ে না নেয় নারী প্রকৃত সৌন্দর্য, গতিশীলতা আর আত্মবিশ্বাস। নারীর সৌন্দর্য তার নিজস্বতায়, তার স্বকীয়তায়। নারীর সৌন্দর্য তার অনুভবের স্বাধীনতায়। নারীর সৌন্দর্য তার মুক্তিতে। নারী সৌন্দর্য তার যোগ্যতায়। এখুনি সময় এসেছে নারীর সৌন্দর্যকে নতুনভাবে রূপায়িত করার।

আমাদের সমাজ নারীর গতিশীলতা পছন্দ করে না। সময় পেরিয়ে গেছে। ঘটেছে অনেক বিবর্তন। সাধিত হয়েছে উন্নয়ন আর পরিবর্তন। পৃথিবী বিবর্তনের সাথে সাথে নারী আজ পৌঁছে গেছে মহাকাশে। পৌছেছে এভারেস্টের চূড়ায়। তবুও নারীর সৌন্দর্যের সংজ্ঞার কোনো পরিবর্তন অদ্যাবধি আসেনি।

জীবনে ভালবাসা বা প্রেম সম্পর্কে ধারণা তৈরি হয় আমাদের নাটক, সিনেমা দেখেই। আর সবসময় সিনেমায় দেখানো হয় নায়ক সেই মেয়ের প্রেমেই পড়ে, যে রোগা, আকর্ষণীয়, লম্বা, সুন্দরী। সবসময় মেয়েদের ওপর সুন্দর হওয়ার খুব চাপ থাকে। কে কত কি করে, কত সুন্দরী, আকর্ষণীয় হওয়া যায় তার যেন প্রতিযোগিতা চলে। মেয়েদের বিয়ের জন্য পাত্রী হোক বা প্রেম হোক, কর্পোরেট জব হোক সব সময়ই খোঁজা হয় রোগা, ফর্সা, আকর্ষণীয় সুন্দরী মেয়ে।

মানুষ সুন্দর হতে কতো কিছুই না করে। আর এই কালো বা ফর্সার বৈষম্য মনে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় আমাদের শৈশব থেকেই। রূপকথার গল্পে শিশুরা পড়ে রানি আর রাজকন্যার দুধে-আলতা গায়ের রং, মেঘবরণ চুল, টানা টানা ডাগর ডাগর চোখ । অন্যদিকে রাক্ষুসী হয় কালো রংয়ের। ছোটবেলায়ই কার্টুনের মধ্যে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় মেয়ে বন্ধুটি ফর্সা আর সুন্দর। সিনডেরেলা ফর্সা। গোপাল ভাঁড়ের গল্পে রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের রানীও ফর্সা।

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নারীরাই নারীদের গায়ের রং নিয়ে বেশি তামাশা করে। কথাটি অস্বীকার করার উপায় নেই। নারীরাই অনেকসময় পুরুষতন্ত্রের ধারক বাহক। যুগ যুগ ধরে গড়ে ওঠা নারীর এই মনোভাব তো এমনি এমনি গড়ে ওঠেনি। পুরুষতান্ত্রিক ভোগবাদী সমাজই অনেক নারীর মনে সেই বীজ বুনে দিয়েছে। অনেক উচ্চশিক্ষিত নারীকে দেখি কি করে নিজেকে আকর্ষণীয় সুন্দরী করা যায় তা নিয়ে ব্যস্ত থাকতে। কি করে নিজেকে বাচ্চা বাচ্চা মেয়ে করে উপস্থাপন করা যায়। আবার ছেলের মায়েরা ফর্সা সুন্দরী বউ খোঁজেন ছেলের জন্য।

"নিজের প্রতি শ্রদ্ধা মনের মাংসপেশি। তাহা মনকে উর্ধ্বে খাড়া করিয়া রাখে এবং কর্মের প্রতি চালনা করে। যে জাতি নিজের প্রতি শ্রদ্ধা হারাইতে বসে, সে চলৎশক্তি রহিত হইয়া পড়ে।"(- চিঠিপত্র ৬ । আচার্য জগদীশচন্দ্রের জয়বার্তা।)

নারী যত ফর্সা বা সুন্দর হয়, সমাজে তার কদর তত বেশি। সমাজের প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী গায়ের রং নারীর সকল সৌন্দর্য বিচারের মাপকাঠি। আমাদের মনোজগতে চিন্তাচেতনার মধ্যেই ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে কালো মানেই অসুন্দর। কালো মানেই ভয়। কালো মানেই অমঙ্গল। ভুত কালো হয়। কালো রঙের মানুষকে কালো ছাগলের সাথে তুলনা করা হয়। কালো বিড়াল মানেই অশুভ। সেই ধারণাকে আমরা মিলিয়ে ফেলি গায়ের রঙের সঙ্গে। আর তা বেশি করে ঘটে নারীদের ক্ষেত্রেই । গায়ের রং কালো বলে কোনো নারীর সন্তান কালো হলে সেই নারীকে সারাজীবন কথা শুনতে হয়।

পৃথিবীতে কালো আর সাদা মানুষের বৈষম্য শত শত বছর যাবত বিদ্যমান। এ বৈষম্য যেন একে অপরের প্রতি ঘৃণা আর হিংসাকে চরমভাবে ছড়িয়ে দিচ্ছে। কোথায় নেই এই বর্ণবাদ! পরিবারের থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস, ক্লাসরুম, অফিস-আদালত, কর্পোরেট অফিস পর্যন্ত  বর্ণবাদ অনুপ্রবেশ করেছে।

আর নয় সাদা-কালোর পার্থক্য, নয় কোনো ঘৃণা, রক্তপাত ও হিংসা-বিদ্বেষের ছড়াছড়ি। সারা বিশ্বে মানুষের জন্য, মানুষের দ্বারা তৈরি হোক বর্ণবাদহীন মানবতার সমাজ ও মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন রাষ্ট্র ব্যবস্থা। যেখানে সকল মানুষ আনন্দ, সম্মান আর আত্মবিশ্বাস নিয়ে নিরাপদে বসবাস করবে।

ইউ

ব্রিটিশ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করেছেন ইউনূস ও দুদক:  টিউলিপ

ইসরায়েলের ১৩০ ড্রোন গুঁড়িয়ে দিলো ইরান

হাছান মাহমুদ ও স্ত্রীর ২১ ব্যাংক হিসাব জব্দ

২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ২ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৩৯২

মাত্র ১০ সেকেন্ডেই জানুন কতদিন সুস্থভাবে বাঁচবেন!

মবের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থানে বিএনপি: খসরু

যুদ্ধ শেষ করতে চায় ইসরায়েল, ইরানকে প্রস্তাব

ট্রাম্প এখনো চান কূটনৈতিক সমাধান

মব বিচার মানবাধিকার লঙ্ঘনের দৃষ্টান্ত

৯ বছর পর মমতার সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশের হাইকমিশনার

মেঘনায় স্পিডবোট ডুবি, উদ্ধার ২৮

পরিবেশ ও বৃক্ষমেলা শুরু বুধবার: পরিবেশ উপদেষ্টা

বিচারকের সঙ্গে কাঠগড়া থেকে সাবেক সিইসি নুরুল হুদার কথোপকথন

সিরিয়ায় মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে মর্টার হামলা

পুতিনকে চিঠি দিলেন খামেনি