
সংগৃহীত ছবি
কানাডায় ১৯৬৩ সাল থেকে যাত্রা শুরু করে ক্যালগেরি ম্যারাথন দৌড়, যা বর্তমানে কানাডার দীর্ঘতম এবং অন্যতম জনপ্রিয় ম্যারাথন দৌড় প্রতিযোগিতা। এ প্রতিযোগিতা সর্বশেষ ২০১৯ পর্যন্ত মোট আটবার আলবার্টা প্রদেশের 'শ্রেষ্ঠ রোড রেস' হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে।
কানাডার স্থানীয় সময় রোববার ২৫ মে সকাল সাতটায় অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় প্রায় চার হাজার পাঁচশজন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেন।
ফুল ম্যারাথন (অর্থাৎ 42.2 কিমি) ক্যাটাগড়িতে ৬০০ থেকে ১০০০ জন অংশগ্রহণ করেন। তারমধ্যে চতুর্থ বারের মতো প্রবাসী বাংলাদেশিরাও অংশগ্রহণ করেন। এর মধ্যে ক্যালগেরিতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশী বিশিষ্ট নাট্য নির্দেশক জাহিদ হক এবং সংগীত শিল্পী শারমিন ইয়াসিন অংশ গ্রহণ করে সম্পূর্ণ ম্যারাথন দৌড়ে এবং তাজিয়া খুশবু অংশ গ্রহণ করে আংশিক ম্যারাথন দৌড়ে।
এই প্রতিযোগিতায় দুই বছরের শিশু থেকে শুরু করে বয়োবৃদ্ধ সবার বিভিন্ন দূরত্বের দৌড় কিংবা হাঁটায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে পুরো ক্যালগেরি নগরী উৎসবমুখর হয়ে উঠে। এই প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন দূরত্বের মধ্যে আলট্রা (৫০ কিমি), ফুল ( ৪২.২ কিমি) আর হাফ (২১.১) ম্যারাথন দৌড় সর্বাধিক জনপ্রিয়।
এবারের ম্যারাথন দৌড় প্রতিযোগিতায় ক্যালগেরিতে বসবাসরত প্রবাসীদের জন্য একটু ভিন্ন অভিজ্ঞতা ছিল।
নাট্য ব্যক্তিত্ব জাহিদ হক জানান, কানাডার মাটিতে এ এক অন্যরকম অনুভুতি। গতবছর আমি কানাডার টরেন্টোতে ম্যারাথন দৌড়ে, ঢাকায় ম্যারাথন এবং ক্যালগেরির এই একই ম্যারাথন দৌড়ে অংশগ্রহণ করেছিলাম। এ বছর চতুর্থ বারের মতো অংশ গ্রহণ করেছি। একটিভ লিভিং এ অভ্যস্ত হতে এবং প্রেরণা জাগাতে ম্যারাথন দৌড়ের বিকল্প নেই ।
উল্লেখ্য, বিশ্বব্যপী ম্যারাথন দৌড় প্রতিযোগিতা ক্রমেই জনপ্রিয় উঠছে। স্থিতি সরাসরি মৃত্যু না ঘটালেও যন্ত্রনির্ভর আমাদের দৈনন্দিন স্থবির জীবন চর্চা আমাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য প্রধান হুমকি। এ থেকে পরিত্রাণ পেতে একটিভ লিভিং বা সচল জীবন যাত্রার বিকল্প নাই। আর তাই তো প্রবাদে আছে- 'গতিই জীবন, স্থিতিই মরণ।'
//এল//