ঢাকা, বাংলাদেশ

মঙ্গলবার, , ০১ জুলাই ২০২৫

English

সারাদেশ

‘মামলাটা উঠাতে চাই, দেশ শান্তিতে রাখতে চাই’

কুমিল্লা

প্রকাশিত: ১০:২৯, ৩০ জুন ২০২৫

‘মামলাটা উঠাতে চাই, দেশ শান্তিতে রাখতে চাই’

সংগৃহীত ছবি

‘হের (ফজর আলী) তো অবস্থা খারাপ। বাঁচে না মরে বলা যায় না। সে যদি এলাকায় হাঁটা-চলা করতো তাহলে মামলা করে কাজ হতো। এখন ওর মরার অবস্থা। আমরা মামলাটা উঠাতে চাই, দেশে শান্ততে রাখতে চাই। হিন্দু-মুসলমান শান্তিতে থাকুক।’

রোববার (২৯ জুন) নিজ বাড়িতে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন কুমিল্লার মুরাদনগরের পাশবিক নির্যাতনের শিকার ওই নারী।

তিনি আরও বলেন, আমার মানসম্মান সব গেছে, সবাই মুক্তি পাক। আমি দুটি শিশুসন্তান নিয়ে বাঁচতে চাই। আমি দশজনের শান্তি চাই, দেশের শান্তি চাই। আমার যা হওয়ার তো হয়েই গেছে। আমি মামলা তুলে নেব।

ওই নারী বলেন, আমি মামলা করেছি, আমি তুলে ফেলবো। আমি দশজনের ভালো চাই। মামলা তুলে নিতে আমাকে কেউ চাপ দেয়নি। টাকার লোভও দেখায়নি। আমার স্বামী বলেছে- ‘তোর সম্মান যা যাওয়ার গেছে।  এখন কেস করলেও সেই সম্মান ফিরে পাবি না।’

ফজর আলীর সাথে সম্পর্কের বিষয়ে তিনি বলেন, আমার মা ৫০ হাজার টাকা ধার নিয়েছে ফজর আলীর কাছে। সেই পাওনা টাকার বিষয়ে ফজর আলী আমাকে মাঝেমধ্যে ফোন দিতেন। এসব বিষয় ফজর আলীর ছোটভাই আমাদের সন্দেহ করে। একদিন ফজর আলীর ভাই আমাদের ঘরে এসে আমার হাত থেকে মোবাইল কেড়ে নিয়ে আছাড় মেরে মোবাইল ভেঙে ফেলে। পরে গ্রাম্য সালিশের মাধ্যমে বিচার হয়ে ওই ঝামেলা মীমাংসা হয়।

সেদিনের ঘটনা বর্ণনা করতে গিয়ে ভুক্তভোগী ওই নারী বলেন, গত বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে ফজর আলী আমাদের ঘরের সামনে এসে দরজা খুলতে বলেন। আমি বলেছি আমার বাবা-মা পাশের বাড়ির সাপ্তাহিক পূজার অনুষ্ঠানে গেছে। আমি আর দুই সন্তান ঘরে। এ সময় তিনি কৌশলে দরজা খুলে আমাদের ঘরে প্রবেশ করে আমার ওপর অত্যাচার করেন। কিছুক্ষণ পর ৭-৮ জন এসে ফজর আলীকে মারধর করেন। তাকে (ফজর আলীকে) মারধরের পর আমাকেও মারধর শুরু করেন। তারা আমার ভিডিও করে ফেসবুকে ছেড়ে দেয়।

প্রসঙ্গত, গত শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হিন্দু সম্প্রদায়ের এক নারীকে নিপীড়নের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে ফেসবুকে। পরে বিষয়টি নজরে আসে সবার। বৃহস্পতিবার রাতে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাহেরচর পাঁচকিত্তা এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় গত শুক্রবার ফজর আলী নামে এক ব্যক্তিকে আসামি করে ধর্ষণের মামলা করেন ওই নারী। ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ফজরসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ফজর ছাড়া অন্য চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ– তারা ভিডিও অনলাইনে ছড়িয়েছেন। এ অভিযোগে রোববার কুমিল্লার মুরাদনগর থানায় পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে আরেকটি মামলা করা হয়। ওই মামলায় চারজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতপরিচয় আরও ২০ থেকে ২৫ আসামি করা হয়েছে। 

ভাইরালকাণ্ডে জড়িত গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- একই এলাকার আবদুল হান্নানের ছেলে মো. আলী সুমন, জাফর আলীর ছেলে রমজান, মো. আলমের ছেলে আরিফ ও তালেম হোসেনের ছেলে অনিক। 

ফজর আলী কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ভিডিও ছড়ানোর দায়ে গ্রেপ্তার চারজনকে আদালতে তোলা হলে আদালত তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এদিকে কুমিল্লার পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান বলেন, পুরো বিষয়টি এখন তদন্তানাধীন। ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে, শেষ হলে বিস্তারিত জানাতে পারবো। ফজর আলীকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। চিকিৎসকের ছাড়পত্র পেলে তাকে আদালতে তোলা হবে।

//এল//

জুলাই ঘোষণাপত্রের দাবিতে যমুনার সামনে অবস্থান

ডেঙ্গু পরীক্ষার ফি নির্ধারণ করলো সরকার

ভোটকেন্দ্র স্থাপনে ডিসি-ইউএনওদের নেতৃত্বে কমিটি বাতিল

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোনালাপ

সরকারি চাকরিতে ৪.৬৮ লাখ পদ শূন্য, মোট পদের ২৪% খালি

স্নাতক পাসে চাকরি দেবে বসুন্ধরা গ্রুপ 

শুল্ক বিভাগের সব চাকরি এখন ’অত্যাবশ্যকীয় সেবা’

জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে নাহিদের স্ট্যাটাস

দেশে নতুন করে ২১ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত

ডিহি ইউনিয়ন বিএনপির জরুরি কর্মী সভা

 নোয়াখালীতে ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার

দক্ষিণ এশিয়ায় নতুন জোট: চীন-পাকিস্তান-বাংলাদেশ

ডেঙ্গুতে রেকর্ড ভর্তি: একদিনে ৪২৯ জন হাসপাতালে

ওপেক প্লাসের সিদ্ধান্তে বিশ্ববাজারে তেল সস্তা

বিমানবন্দরে আসিফের ম্যাগজিন: ’অনিচ্ছাকৃত’ দাবি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার