
ফাইল ছবি
ভরা মৌসুমে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ মোকামে ধান সরবরাহ কমেছে। অন্যান্য মৌসুমে হাওরাঞ্চলের কৃষক ও বেপারিরা প্রতিদিন নদীপথে ৫০-৬০ হাজার মণ ধান নিয়ে আসেন এখানে। এবার তা কমে দাঁড়িয়েছে ১৫-২০ হাজার মণে। কারণ হিসেবে বেপারিরা বলছেন, দাম কমে যাওয়ায় মোকামে কেনাবেচা কমেছে। ধানের বাজারে তদারকি বাড়ানোর কথা বলছে উপজেলা প্রশাসন।
কৃষক ও বেপারিরা জানান, ধান বিক্রির জন্য পূর্বাঞ্চলে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ মোকাম। কিশোরগঞ্জ, সিলেট, হবিগঞ্জ, নেত্রকোনা, ময়মনসিংহ, জামালপুর, সুনামগঞ্জসহ হাওরাঞ্চলের উৎপাদিত ধান নদীপথে কৃষক ও বেপারিরা নিয়ে আসেন এখানে। অন্যান্য বছর প্রতিদিন মোকামে ৬০-৭০ হাজার মণ ধান কেনাবেচা হয়। তবে কাঙ্ক্ষিত দাম না পাওয়ায় এবার মোকামে কমেছে ধান সরবরাহ। এবার ফলন ভালো হলেও মোকামে প্রতি মণ ধান যে দামে বিক্রি হচ্ছে তাতে কৃষকের খুব বেশি লাভ হচ্ছে না। বর্তমানে প্রতি মণ মোটা ধান ৮০০-৯০০ এবং চিকন ধান ৯০০-১০৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
বেপারিরা জানান, কৃষকদের কাছ থেকে কেনা ধান স্বল্প লাভেই বিক্রি করতে হচ্ছে। ধান বিক্রি করে তাদেরও খুব বেশি লাভ হচ্ছে না। এ কারণে দূর-দূরান্ত থেকে ধান আসা কমে গেছে।
তবে দাম কমার পেছনে কৃষকরা সিন্ডিকেটকে দায়ী করলেও আড়তদাররা জানান, নতুন ধান মোকামে আসায় দাম কিছুটা কমেছে। এখানে সিন্ডিকেটের কোনো অস্তিত্ব নেই।
এদিকে ধানের দাম কম হওয়ার প্রভাব পড়ছে চালের বাজারেও। জেলার সবচেয়ে বড় চালের বাজার ব্রাহ্মণবাড়িয়া আনন্দ বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, মোটা চাল আগে ১ হাজার ৯০০ টাকা মণ বিক্রি হলেও এখন বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৭০০ টাকা। চিকন চাল ২ হাজার ৮০০ টাকা বিক্রি হলেও এখন ২ হাজার ৬৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
চাল ব্যবসায়ীরা জানান, এবার ধান নষ্ট না হওয়ায় কৃষকেরা মজুদ করে রেখেছেন বেশি দাম পাওয়ার আশায়। চাল বেচাকেনা খুব কম। তবে সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চালের দাম ও ধানের দাম বাড়ার পাশাপাশি বিক্রিও বাড়বে।
সিন্ডিকেটের বিষয়টি নজরদারিতে রয়েছে বলে জানিয়েছেন আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শ্যামল চন্দ্র বসাক।
ইউ