ঢাকা, বাংলাদেশ

বুধবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

English

প্রযুক্তি

‘শুধু মস্তিষ্ক নয়, উদ্বিগ্নতা তৈরি করে হৃৎপিণ্ডও’

উইমেনআই২৪ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৮:৫০, ২ মার্চ ২০২৩; আপডেট: ১৮:৫৩, ২ মার্চ ২০২৩

‘শুধু মস্তিষ্ক নয়, উদ্বিগ্নতা তৈরি করে হৃৎপিণ্ডও’

ফাইল ছবি

ভীতিকর কোনো আওয়াজ শোনার পর কিংবা কোনো অস্বস্তিকর অনুভূতি হওয়ার পর মাথার পেছনের চুল এবং হাতের উল্টো পিঠের লোম দাঁড়িয়ে যাওয়ার ঘটনা মানুষের কাছে অতিপরিচিত। এমন সময়ে হৃৎপিণ্ড স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে অনেকটা দ্রুত স্পন্দিত হয়। কিন্তু এর বিপরীতটা অর্থাৎ শরীর উদ্যোগী হয়ে মানুষের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করছে- এমনটা কি সম্ভব!

আগে ধারণা করা হতো, মানুষ উদ্বেগের মধ্যে থাকলে তার হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়। কিন্তু নতুন এক গবেষণা থেকে এর উল্টো আরেকটি বিষয়ও প্রমাণিত হয়েছে। গবেষণা বলছে, শরীরও হৃদস্পন্দন বাড়িয়ে মানুষের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করতে পারে। 

ক্যালিফোর্নিয়ার স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির স্নায়ুবিজ্ঞানী কার্ল ডেইসারথ বলেছেন, ‘এই প্রশ্নটি অনেকটা মুরগি আগে না ডিম আগে-এর মতো।’ তিনি জানান এই বিষয়ে সর্বপ্রথম ধারণা দিয়েছিলেন, ১৮৮০-এর দশকের মনোবিজ্ঞানী উইলিয়াম জেমস। 

এ বিষয়ে পরীক্ষা চালানোর জন্য ইঁদুরকে বেছে নেন কার্ল ডেইসার্থ এবং তার সহকর্মীরা। তারা আলোর ব্যবহারের মাধ্যমে বাইরে থেকে কোষ নিয়ন্ত্রণের পদ্ধতি ব্যবহার করেন। এরপর তারা ইঁদুরটির শরীরে জৈবপ্রকৌশল খাটিয়ে তার দেহকোষকে আলোকসংবেদি করে তোলেন এবং লাল আলোকরশ্মি নির্গত করে এমন একটি স্যুট পরিয়ে দেন ইঁদুরটিকে। স্যুটটি থেকে আলোকরশ্মি নির্গত হলে ইঁদুরটির হৃদস্পন্দনও বেড়ে যেত।

এই অবস্থার সঙ্গে অভ্যস্ত তরে তুলতে ইঁদুরটিকে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেন বিজ্ঞানীরা। এরপর অপটোজেনিক সিস্টেম ব্যবহার করে বিজ্ঞানীরা ইঁদুরটির হৃদস্পন্দন প্রতি মিনিটে স্বাভাবিক ৬৬০ থেকে ৯০০ বারে উত্তীর্ণ করেন। এই অবস্থায় ইঁদুরটি শ্লথ এবং অলস হয়ে পড়ে এবং উন্মুক্ত কোনো জায়গা খোঁজার বদলে সেখানেই পড়ে থাকে। 

ইঁদুরটির এই অবস্থা থেকে বিজ্ঞানীরা ধারণা করে নেন, ইঁদুরটি উদ্বিগ্ন হয়েছে বা অ্যাংজাইটিতে ভুগছে। কারণ, ইঁদুরটির হৃদস্পন্দন সেটির মধ্যে অন্য কোনো পরিবর্তন আনেনি। যার ফলে, বিজ্ঞানীরা সিদ্ধান্তে উপনীত কেবল মস্তিষ্ক এককভাবে নয়, এর সঙ্গে হৃৎপিণ্ড জোট বেধে মানুষের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করে। 

বিজ্ঞানীরা বিষয়টি নিয়ে আরও গবেষণা করেন। দ্বিতীয় ধাপে তারা ইঁদুরটির মস্তিষ্কের কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ করেন। বিশেষ করে সেটির মস্তিষ্কের ইনসুলা অংশ-যা ইঁদুরের আনুভূতি এবং শারীরিক সংবেদ সৃষ্টির জন্য দায়ী তা পর্যক্ষেণ করেন গভীর মনোযোগ দিয়ে। তারা দেখতে পান, যখন হৃদস্পন্দন বেড়ে যায় তখন ইনসুলার কাজও বেড়ে যায়। যা ইঁদুরটিকে আরও উদ্বিগ্ন করে তোলে। 

এই গবেষণার গুরুত্ব তুলে ধরে যুক্তরাজ্যের সাসেক্সের ব্রাইটন ও সাসেক্স মেডিক্যাল স্কুলের মনোরোগ বিশেষজ্ঞ হুগো ক্রিসলি বলেছেন, ‘কাজটি পদ্ধতিগত দিক থেকে একটি বড় অগ্রগতি।’ তিনি আরও জানান, এই আবিষ্কার মনোরোগ চিকিৎসায় একটি নতুন দিক উন্মোচন করবে। 

ইউ

আবারো কমলো স্বর্ণের দাম

নেটওয়ার্ক আধুনিকায়নের লক্ষ্যে বাংলালিংক ও হুয়াওয়ের চুক্তি

ছাদে বাগান থাকলেই উপহার পৌঁছে দিচ্ছেন সাংবাদিক নওশাদ রানা সানভী

ব্যাংককে শেখ হাসিনাকে রাজকীয় বরণ

আপিল বিভাগে তিন বিচারপতি নিয়োগ

৩ মামলায় মামুনুল হকের জামিন 

হত্যার ভয়ে বাড়ি ছাড়লেন সালমান খান

থাইল্যান্ড পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী

বাংলাদেশ সিরিজের জন্য জিম্বাবুয়ের দল ঘোষণা

মিয়ানমারের কারাগার থেকে ফিরলেন ১৭৩ বাংলাদেশি

ইতিহাস গড়লেন বাংলাদেশি নারী বক্সার

২০২৫ সালে এসএসসি পরীক্ষা হবে ৫ ঘণ্টার, থাকবে বিরতি

‘ইকোভাডিস সিলভার মেডেল’ পেল সিগওয়ার্ক

রাজধানীতে বৃষ্টির জন্য ইস্তিসকার নামাজ পড়ে কান্নাকাটি

মন্ত্রী-এমপির স্বজনরা প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে ব্যবস্থা: কাদের