
ফাইল ছবি
আজ ১০ জুন, জাতীয় স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুরের মধ্যকার এশিয়ান কাপ বাছাই ম্যাচ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ম্যাচটি ঘিরে দেশজুড়ে ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে উন্মাদনা দেখা গেলেও, টিকিট বণ্টন নিয়ে ব্যাপক অসন্তোষ ও অভিযোগ উঠেছে।
জাতীয় স্টেডিয়ামের ধারণক্ষমতা ২০,০০০ হলেও, সাধারণ গ্যালারির ১৮,৩০০ আসনের মধ্যে অনেক ফুটবল ক্লাবের কর্মকর্তারা টিকিট পাননি। ঢাকা মোহামেডান, আবাহনী, বসুন্ধরা কিংস, ব্রাদার্সসহ অন্যান্য ক্লাবগুলোকে যথাযথ সংখ্যক টিকিট বরাদ্দ না দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্লাব কর্মকর্তারা। মোহামেডান ক্লাবের ম্যানেজার ইমতিয়াজ আহমেদ নকীব জানান, তাদের ক্লাবকে মাত্র দুটি টিকিট দেওয়া হয়েছে, যা অপ্রতুল।
বাফুফে নির্বাহী কমিটির সদস্যদের জন্য ৪টি ক্লাব হাউজ ও ২০টি সাধারণ গ্যালারির টিকিট বরাদ্দ ছিল। তবে, অনেক সদস্য ব্যক্তিগত উদ্যোগে অতিরিক্ত টিকিট সংগ্রহ করেছেন, যার ফলে বিতরণে অসামঞ্জস্য দেখা দিয়েছে।
ফুটবল ক্লাবগুলোর তুলনায় সামাজিক ক্লাবগুলোকে অধিক সংখ্যক টিকিট বরাদ্দ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া, মোবাইল অপারেটর রবি হাউজের মাধ্যমে টিকিট বিক্রির বিষয়টি নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে, কারণ রবি বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের স্পন্সর হলেও ফুটবলের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক সীমিত।
বাফুফে সাবেক জাতীয় ফুটবলারদের জন্য ১০০টি টিকিট বরাদ্দ করেছে, যার মধ্যে প্রত্যেকে একটি করে টিকিট পেয়েছেন। এতে অনেক সাবেক ফুটবলার তাদের পরিবারসহ খেলা দেখতে আসতে পারছেন না, যা তাদের মধ্যে হতাশা সৃষ্টি করেছে।
বাফুফে এবার টিকিট বিক্রির জন্য অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করেছে, যার মাধ্যমে টিকিট সংগ্রহ করতে হয়েছে। তবে, অনেক ফুটবলপ্রেমী ও স্টেকহোল্ডাররা অনলাইনে টিকিট সংগ্রহে ব্যর্থ হয়েছেন, যা নিয়ে সমালোচনা চলছে।
ফুটবলাঙ্গনে টিকিট বণ্টন নিয়ে চলমান অসন্তোষ ও অভিযোগের মধ্যে আজকের ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ফুটবলপ্রেমীরা আশা করছেন, ভবিষ্যতে টিকিট বণ্টন প্রক্রিয়া আরও স্বচ্ছ ও ন্যায্য হবে।
ইউ