
ছবি: বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে...
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘প্রস্তাবিত নতুন অর্থ বছরের বাজেটকে সরকারের অর্থনৈতিক দুর্নীতির ধারাবাহিকতার অংশ বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, এটি উচ্চাভিলাষী, বাস্তবায়ন অযোগ্য।’
দুর্নীতি করতেই এমন বাজেট মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, বাস্তবতা বিবর্জিত এ বাজেট লোক দেখানো, জনগণের কল্যাণে নয়।
বুধবার (৭জুন) রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘অর্থনীতি চাপে থাকায় প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব নয়। মূল্যস্ফীতি চাপে এমনিতেই নাজেহাল সাধারণ মানুষ। এটি বড় চ্যালেঞ্জ। চীন, ভারতে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ায় মূল্যস্ফীতির লাগাম টানার উদ্যোগ থাকলেও বাংলাদেশে অর্থমন্ত্রী কোনো নির্দেশনা দেননি।’
তিনি বলেন, ‘সরকার মধ্যস্বত্বভোগীদের সুবিধার জন্য নিজস্ব অর্থনৈতিক ব্যবস্থা চালু করেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, দলমতের ঊর্ধ্বে উঠে সাহসী বাজেট দেয়ার প্রয়োজন থাকলেও বাজেট আইএমএফের শর্ত পূরণের চেষ্টা করা হয়েছে।’
বাজেটে করযোগ্য আয়সীমা বাড়ালেও টিআইএনধারীদের ওপর দুই হাজার টাকা চাপানোকে সাংঘর্ষিক, ন্যায়নীতি পরিপন্থি মন্তব্য করে তিনি বলেছেন, বাজেটে অসম করনীতি বৈষম্য আরও বাড়বে।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বাজেটে সাধারণ মানুষের জন্য কোনো সুখবর নেই। রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা কোনোভাবেই অর্জন সম্ভব নয়। তাই এই বাজেট গণবিরোধী। অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সঙ্কট প্রকট রূপ নিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ থেকে মুক্তি পেতে জবাবদিহিমূলক সরকার প্রয়োজন। সেজন্য অবশ্যই নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে।’
তিনি আরও বলেন সম্প্রতি বিদ্যুৎ পরিস্থিতির প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘সরকার দুর্নীতির জন্য বিদ্যুৎ খাতকে বেছে নিয়েছে। দুর্নীতি লুটপাটের কারণে বিদ্যুতে ভয়াবহ দুরবস্থা। আওয়ামী লীগের দুই নেতা সংলাপের কথা বলছেন। আবার ওবায়দুল কাদের বলেছেন সংলাপের প্রয়োজন নেই, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, সংলাপের বিষয়ে আওয়ামী লীগের আসল বিষয়টি বুঝতে পারছেন, ধরে নেন এটাই তাদের আসল চরিত্র।’