ফাইল ছবি
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, ‘এদেশে গণতন্ত্রের জন্য আমরা পাকিস্তানি শক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিলাম। তৎকালীন সময়ে আমরা বলেছিলাম, পাকিস্তানি অবকাঠামোর ভেতরে গণতন্ত্র সম্ভব নয়। আমরা একটি আলাদা একটি স্বাধীন দেশ চাই। সেই দেশের নাম হবে বাংলাদেশ। যে দেশে আমার গণতন্ত্র প্রতিণ্ঠা করবো। দুঃখের বিষয়। স্বাধীনতা পরবর্তী ৩ বছরে আমরা দেখেছি যে স্বাধীনতার জন্য বাংলাদেশে যুদ্ধ হয়েছিল। তখন তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার গণতন্ত্রের কবর রচনা করেছিল। সংসদের ভেতরে মাত্র ১১ মিনিটের ব্যাবধানে বাকশাল তৈরি করেছিল। এক দলীয় বাকশাল কখনো গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে পারে না। তখন বাংলাদেশের জনগণ একদলীয় বাকশালকে প্রত্যাখান করে সিপাহী জনতার বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে তারা স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে এই দেশ পুনরায় গড়ে তোলার দায়িত্ব দিয়েছিল।’
সোমবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৪৬ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলেক্ষ নরসিংদীর ঘোড়াশাল পৌর অডিটোরিয়ামে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মঈন খান বলেন, ‘একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে ৫ আগস্টের গণ আন্দোলনের পূর্ণতা পাবে। ৫ আগস্ট ছিল গণতন্ত্র উত্তোরণের প্রথম ধাপ। একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন ব্যবস্থা করা হলো এই আন্দোলনের ২য় ধাপ। এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর হলো ৩য় ধাপ। যার সুফল পাবে বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ।’
এসময় মঈন খান আরো বলেন, ‘এদেশের মানুষের গণতন্ত্রের সংগ্রাম, ভোটের সংগ্রাম এখনো শেষ হয়ে যায়নি। যে আদর্শ ও উদ্দেশ্যে নিয়ে দেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধে জীবন দিয়েছিল সেই আদর্শ ও উদ্যোশ্য বাস্তবায় না হওয়া পর্যন্ত এ ভাবেই দেশের মানুষ বুকের রক্ত ঢেলে দিবে।
পলাশ যুবদলের আহবায়ক নিছার আহমেদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় এসময় আরো বক্তব্য রাখেন- জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক হাসানুজ্জামান সরকার, পলাশ উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুস সাত্তার, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, ঘোড়াশাল পৌর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আলম মোল্লা, উপজেলা যুবদলে সদস্য সচিব বকতিয়ার হোসেন প্রমুখ।
ইউ