ঢাকা, বাংলাদেশ

বৃহস্পতিবার, , ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

English

বিচিত্র

ভূতুড়ে দ্বীপের একমাত্র নারী

উইমেনআই২৪ ডেস্কঃ

প্রকাশিত: ১৩:১০, ১২ মার্চ ২০২৩

ভূতুড়ে দ্বীপের একমাত্র নারী

ভূতুড়ে দ্বীপের একমাত্র নারী

জীবন যে কখন কাকে কোন দিকে নিয়ে যায়, তা আর কে বলতে পারে! এই যেমন ইতালির জিউলিয়া মানকার কথাই ধরা যাক। বেড়াতে গিয়েছিলেন। ছুটির মেজাজে কয়েকটা দিন কাটাতে চেয়েছিলেন। আর সেই বেড়ানোর জায়গাতে গিয়েই এক মায়ার বাঁধনে জড়িয়ে ফেললেন নিজেকে।

ইতালির পিয়ানোসা দ্বীপে কয়েক দিনের জন্য বেড়াতে গিয়েছিলেন জিউলিয়া। সেই জায়গা তার হৃদয়কে এতটাই নাড়িয়ে দিল যে, সেখান থেকে বাড়ি ফেরার কথা মাথা থেকেই বার করে দিলেন। তারপর থেকে সেখানেই পাকাপাকি ভাবে থাকা শুরু করলেন। ভূতুড়ে দ্বীপও বলা হয়ে থাকে এই পিয়ানোসাকে। জানলে আশ্চর্য হবেন যে, জিউলিয়াই একমাত্র নারী, যিনি ওই দ্বীপে রয়েছেন। অর্থাৎ, সেখানে আর কোনও মহিলা বাসিন্দা নেই।

সেটা ২০১১। সে বছর নিজের সঙ্গে একান্তে সময় কাটানোর জন্য পিয়ানোসাকে বেছে নিয়েছিলেন জিউলিয়া। পিয়ানোসা এমন একটা দ্বীপ, যেখানে অতীতে ইটালির বন্দিদের রাখা হত। ঐ দ্বীপে একটাই মাত্র হোটেল রয়েছে। যার নাম ‘হোটেল মিলেনা’। ২০১১ সালে পিয়ানোসা গিয়ে ঐ হোটেলেই উঠেছিলেন জিউলিয়া।

ঐ হোটেলের সব কর্মীই দাগি অপরাধী। জেলের ঐ আসামিরাই হোটেলের দেখভাল করেন। বন্দিদশা থেকে বেরিয়ে সমাজের মূলস্রোতে ফেরানোর প্রচেষ্টাতেই ঐ হোটেলে আসামিদের নানা দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি চলে তাঁদের পুনর্বাসন কেন্দ্র।

বেড়াতে গিয়ে এমন কাণ্ড দেখে আপ্লুত হয়ে গিয়েছিলেন জিউলিয়া। জীবনে দ্বিতীয় সুযোগ দেওয়া হয়েছে ঐ অপরাধীদের। এই ভাবনাটা আকৃষ্ট করেছিল তাকে। আর তার পরই সেখানে পাকাপাকি ভাবে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন তিনি।

দেখতে দেখতে ১২ বছর হয়ে গেল। ঐ দ্বীপ আর হোটেলেই এখন জিউলিয়ার সংসার। দ্বীপে যে দুইজন স্থায়ী বাসিন্দা রয়েছেন, তাদের মধ্যে এক জন হলেন জিউলিয়া। বেড়াতে গিয়ে যে হোটেলে উঠেছিলেন, সেই হোটেলেরই ম্যানেজার এখন জিউলিয়া।

জিউলিয়া যখন অতিথি হিসাবে ঐ হোটেলে ছিলেন, তদানীন্তন ম্যানেজার তাকে বলেছিলেন যে, হোটেল পরিচালনায় অর্থাভাব রয়েছে। ফলে অর্থাভাবে যেকোন দিন বন্ধ হয়ে যেতে পারে হোটেল।

অর্থাভাবে যদি সত্যিই হোটেলটি বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে ওই আসামিদের আবার জেলে ফেরত যেতে হবে। এই হোটেলের দৌলতে সমাজে মূলস্রোতে ফেরার যে স্বপ্ন দেখেছিলেন তারা, তা ভেঙে চুরমার হয়ে যাবে। আর এটাই নাড়িয়ে দিয়েছিল জিউলিয়াকে।

অতীতে ‘ট্যুরিস্ট এজেন্ট’ হিসাবে কাজ করতেন জিউলিয়া। তার কথায়, ‘হোটেল ম্যানেজারের কথা শুনে আমার মনে হয়েছিল, কিছু একটা করতে হবে। তা না হলে তারা (আসামি) আবার জেলের ছোট্ট কুঠুরিতে দিন কাটাবেন।’

এরপরেই ইতালির টাসকানির বাসিন্দা জিউলিয়া ঐ দ্বীপে পাকাপাকি ভাবে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়ে নেন। পরে ঐ হোটেলেরই ম্যানেজার হিসাবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। প্রথম দিকে কোনো পারিশ্রমিকও নিতেন না। তার পরিচালনাতেই হোটেলের ভবিষ্যৎ সুনিশ্চিত হয়েছে।

ঐ হোটেলে রয়েছেন এক জন কারারক্ষী। সেই সঙ্গে রয়েছেন ১০ জন পুরুষ। তারা প্রত্যেকেই অপরাধী। হোটেলের যাবতীয় কাজকর্ম তারাই সারেন। তাদের সঙ্গেই থাকেন জিউলিয়া।

ঐ অপরাধীদের মধ্যে কেউ রান্নাঘর সামলান। আবার কেউ হোটেলের বাগানের দায়িত্বে রয়েছেন। কারো উপর আবার খাবার পরিবেশনের ভার রয়েছে। কেউ আবার সাফাইয়ের কাজ করেন। এই কাজের জন্য তারা পারিশ্রমিকও পান।

হোটেলে রয়েছে ১১টি ঘর। থরে থরে সাজানো রয়েছে কাঠের আসবাবপত্র। হোটেলের ঘর থেকে সমুদ্রের অপরূপ সৌন্দর্যের দর্শনও পাওয়া যায় ভালো। আসলে দ্বীপটাই এমন একটি জায়গায় রয়েছে, যার আশপাশে সব রূপরস ঢেলে দিয়েছে প্রকৃতি।

চারদিকে পাইন গাছের সারি। সামনে রয়েছে সমুদ্র। হোটেলের বাইরে রয়েছে প্রাঙ্গণ। যেখানে বসার ব্যবস্থাও রয়েছে। হোটেলে অতিথিদের জন্য রয়েছে রেস্তরাঁ, পানশালাও। অনেকেই ছুটি কাটাতে ঐ দ্বীপে ঘুরতে যান। আর একমাত্র আস্তানা হিসাবে ওঠেন ঐ হোটেলে। জন্মদিন বা বিয়েবাড়ির পার্টিরও আয়োজন করা হয় সেখানে।

জিউলিয়াকে ‘পিয়ানোসার রানি’ও বলেন কেউ কেউ। হোটেল সামলানোর পাশাপাশি দ্বীপে আসামিদের জন্য যে পুনর্বাসন কেন্দ্র রয়েছে, তার তদারকিও করেন তিনি।

আসামিদের সঙ্গে থাকতে ভয় করে না? জিউলিয়ার কথায়, ‘অনেকেই বলেন আমি নাকি পাগল। তাই এমন কাজ করছি। কিন্তু আমি এখানে নিজেকে খুবই সুরক্ষিত মনে করি। কখনোই আমার ভয় লাগেনি কিংবা দুশ্চিন্তাও হয়নি।’

নিজের এই কাজের জন্য গর্বিত বোধ করেন জিউলিয়া। তার কাজ নিয়ে প্রথমে ভয় পেত জিউলিয়ার কন্যা। পরে দ্বীপ ঘোরার পর সে-ও তার মায়ের জন্য খুশি। আর তাই তো জিউলিয়া বলেছেন, ‘খুবই ভাগ্যবতী আমি।’

সূত্র: আনন্দবাজার


 

//এল//

ফ্যাসিবাদের মতো তামাকও নির্মূল করতে হবে: ফরিদা আখতার

নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচন কর্মকর্তা সংক্রান্ত দুই অধ্যাদেশ অনুমোদ

লিবিয়া থেকে দেশে ফিরলেন আরও ১৭৬ বাংলাদেশি:

ব্র্যাক ব্যাংকের নারী উদ্যোক্তা কর্মশালা নারায়ণগঞ্জে

মেডিকেল ভর্তিতে অটোমেশন নিয়ে বিতর্ক

ডেঙ্গুতে আরও ৫ জনের মৃত্যু

একনেক সভায় ৮ হাজার ৩৩৩ কোটি টাকার ১৩ প্রকল্প অনুমোদন

এশিয়ায় প্রাচীনতম মমি আবিষ্কার

নারায়ণগঞ্জে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন অভিযান 

‘শিশু বয়সেই যৌন পেশায় যুক্ত হন ৪৫ শতাংশ নারী’

সোনাইমুড়ীতে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে বাসের ধাক্কা, মৃত্যু ১

শিশু সুরক্ষায় ‘প্রজেক্ট সুরক্ষা’ চালু করল আইজেএম

বাংলাদেশে স্যাটেলাইট সেবায় সাময়িক বিঘ্নের আশঙ্কা

"কর্তৃত্ববাদী শাসনের সাথে সাথে এমপি রাজেরও অবসান হওয়া দরকার”

লালন সম্রাজ্ঞী ফরিদা পারভীন-এর মৃত্যুতে উদীচীর শোক