
সংগৃহীত ছবি
খ্যাতনামা ভাস্কর্য শিল্পী হামিদুজ্জামান খান-এর মৃত্যুতে গভীর শোক ও শ্রদ্ধা জানিয়েছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী।
আজ রবিবার এক শোক বার্তায় উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সভাপতি মাহমুদ সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে বলেন, হামিদুজ্জামান খান-এর মৃত্যুতে দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গণে এক অপূরণীয় শূন্যতার সৃষ্টি হলো।
শোক বার্তায় উদীচীর নেতৃবৃন্দ বলেন, ১৯৪৬ সালে কিশোরগঞ্জে জন্ম নেয়া হামিদুজ্জামান খান ১৯৬৭ সালে বাংলাদেশ কলেজ অব আর্টস অ্যান্ড ক্র্যাফটস ( ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান চারুকলা অনুষদ) থেকে চারুকলায় স্নাতক ডিগ্রি নেন। ১৯৭০ সালে চারুকলার ভাস্কর্য বিভাগে শিক্ষক হিসেবে যোগ দিয়ে ২০১২ সালে অবসর নেন।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক অধিকাংশ ভাস্কর্যই হামিদুজ্জামান খান-এর হাতে তৈরি। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে ভাস্কর আবদুর রাজ্জাকের সঙ্গে তিনি জয়দেবপুর চৌরাস্তায় ‘জাগ্রত চৌরঙ্গী’ ভাস্কর্য নির্মাণে কাজ করেন। এটি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রথম ভাস্কর্য। এছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে সার কারখানায় ‘জাগ্রত বাংলা’, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘সংশপ্তক’, ঢাকা সেনানিবাসে ‘বিজয় কেতন’, মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংক ভবন প্রাঙ্গণে ‘ইউনিটি’, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘স্বাধীনতা চিরন্তন’, ইত্যাদি শিল্পী হামিদুজ্জামান খানের অন্যতম উল্লেখযোগ্য ভাস্কর্য।
ডেঙ্গু ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ায় ১৫ জুলাই রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ভাস্কর হামিদুজ্জামান খানকে। অবস্থার অবনতি হলে তিন দিন ধরে তিনি নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। আজ রবিবার (২০ জুলাই) সকালে চিকিৎসকেরা তাঁর লাইফ সাপোর্ট খুলে দিলে চিরবিদায় নেন হামিদুজ্জামান খান।
খ্যাতনামা ভাস্কর্য শিল্পী হামিদুজ্জামান খান-এর মৃত্যুতে তাঁর পরিবার ও শোকসন্তপ্ত স্বজনদের সমবেদনা জানিয়েছেন উদীচীর নেতৃবৃন্দ।
//এল//