ফাইল ছবি
ঝুমবৃষ্টির হাওয়াই-মিঠাই ধারাজলে ভিজবো সারারাত সারাবেলা
নীলিমায় হাতে হাত, দু'চোখে শুধুই ময়ূরপেখম লীলাখেলা
নেই কোনো ওয়ারিশান দাবিদার
উত্তরাধিকারের লম্ফঝম্পের অংশীদার
বালাই ষাট! বালাই ষাট!
নীলজলে থৈ থৈ অবারিত ঘাট মাঠ!
আষাঢ়ের ঝিঁঝিঁডাকা অলস দুপুরে
লজ্জাবতী’র শাপলা শালুকের পদ্মপুকুরে
ভিজবো সদ্যকেনা জলমহলে নুপুররাঙা ভোরে
সোমত্থ রাজহাঁসের উন্মুক্ত জলকেলির জারুল পারুল ঘোরে
শ্রাবণের দোলনচাঁপা সুবাসিত নৃত্যগীতের সহজিয়া ছন্দে আনন্দে
তিনটে পাঁচটে বিকেল সন্ধ্যেয় ভাসবো কলহাস্যে পরমানন্দে
ময়ূরাসন নাঁয়ে পালতোলা নদীতে কদমদিনের পুষ্পিত কবি
লুটে নেয় কেয়া-কামিনীর ঘামেভেজা ব্যাকুল সুরভি !
রুপার নূপুর পায়ে হেঁটে যাবো বাউলসুরের আলপথে
জারি সারি লালন হাছন শাহকরিমের বসন্ত বাতাসের মৌরথে
লালথালার মস্তো সূর্যটাকে পকেটে ভরে নেবো সেইদিন
দেনাজর্জর ভালোবাসার বাহুডোরে আপ্লুত বহু বহু ঋণ....
সুদেআসলে কড়ায়গণ্ডায় হাতিয়ে নেবো রঙিন জলীয় উত্তাপ
আবিরে আবিরে ভরিয়ে তুলবো জন্মান্ধ একাকীত্বের রামগিরির অভিশাপ
শাপগ্রস্ত হয়ে আছি শিপ্রানদীর তপোবন মোহনাতে
ঘুচবে অতৃপ্তি, অপ্রাপ্তির বোধিবৃক্ষের ধ্যানমগ্ন নির্বাণপ্রাতে
জাবালে রহমতে মাতম সুরে কাঁদে দু'টো প্রাণ চন্দনবনে
পলিল হেমরঞ্জিত অবিম্লান আদম-হাওয়ার মৌ মৌ গন্ধমস্নানে
মহুয়া কৃষ্ণচূড়া পলাশের রঙধনুর দূরন্ত শিশিরগান
বরষার করমচাজলে ধুয়ে নেবো ঝুটা ভুখা ত্যক্ত অভিমান!!!
রোকসানা পারভীন সাথী