সংগৃহীত ছবি
বর্তমানে ছোট-বড় সকলেই দেহের অতিরিক্ত ওজন নিয়ে চিন্তায় থাকেন। বাড়তি মেদ কমানোর নানা চেষ্টা করেন। ওবেসিটি কেবল একজন ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব ও আত্মবিশ্বাসকে প্রভাবিত করে না, এটি স্বাস্থ্যের জন্যও ক্ষতিকর। বাড়তি ওজন ডায়াবেটিস, হাই কোলেস্টেরলের মতো অনেক রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
অনেকেই দেহের ওজন কমাতে ব্যায়াম, ডায়েট করেন। তবুও ফল মেলে না। তাই তারা হতাশ হয়ে পড়েন। আপনিও কি এমন একজন? জানেন কি, নিজের কিছু ভুলের কারণেই ব্যায়াম করার পরও ওজন কমে না? চলুন জেনে নিই বিস্তারিত-
সকালের নাশতা এড়িয়ে যাওয়া
অনেকেই তাড়াহুড়ায় ব্রেকফাস্ট এড়িয়ে চলেন। কেউবা ক্যালোরি কমানোর জন্য সকালের নাশতা বাদ দেন। কিন্তু সকালে যা খাওয়া হয় সেটিই সারাদিনের শক্তি জোগায়। তাছাড়া সকালের নাশতা না করলে সারাদিন ক্ষিধে লাগতে থাকবে। ফলে অতিরিক্ত খেয়ে ফেলবেন। ফলে বাড়বে দেহের ওজন। তাই সকালের খাবার এড়িয়ে যাবেন না। এসময় প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার চেষ্টা করবেন।
রাতের খাবার দেরিতে খাওয়া
অফিস থেকে অনেকেই দেরিতে বাড়িতে পৌঁছান। ফলে রাতে খেতেও দেরি হয়ে যায়। আবার বেশিরভাগ মানুষ ডিনার শেষেই ঘুমিয়ে পড়েন। এই অভ্যাসেই ওজন কমে না। সন্ধ্যা ৭-৮তার মধ্যেই রাতের খাবার খাওয়া উচিত। খাওয়া শেষে অন্তত ১৫-২০ মিনিট হাঁটা উচিত। এতে বিপাকক্রিয়া ভালো হবে, কমবে ওজন।
শারীরিক চর্চা না করা
আজকাল অধিকাংশ মানুষই সারাদিন এক জায়গায় বসে কাজ করেন এবং সারাদিনে কোনো শারীরিক ক্রিয়াকলাপ করেন না। এতে ওজন তো বাড়ছেই, তার সঙ্গে দেখা দিচ্ছে নানা শারীরিক সমস্যা। ফিট থাকলে প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট ব্যায়াম করুন। অফিসে কাজ করাকালীন কিছু সময় বিরতি নিন এবং হাঁটাহাঁটি করুন।
বাইরের খাবার বেশি খাওয়া
অনেকেই সারা সপ্তাহ ডায়েটে থাকলেও সপ্তাহের একদিন ছাড় দেন। সেদিন বাইরের খাবার বা ভাজাভুজি খান। এটিই শরীরের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে। মাসে সর্বোচ্চ একদিন এমন চিট ডে পালন করুন। এর বেশি নয়।
নিয়মিত দেহের ওজন পরীক্ষা না করা
অনেকেই নিয়মিত দেহের ওজন মাপেন না। ফলে ওজন বাড়ছে নাকি কমছে, সে বিষয়ে সঠিক তথ্য পান না। নিয়মিত দেহের ওজন পরীক্ষা করুন। এটি আপনাকে ওজন কমাতে অনুপ্রাণিত করবে।
ছোটোখাটো এই বিষয়গুলো খেয়াল করে সঠিক ডায়েট মানলে সহজেই কমবে ওজন, সুস্থ থাকবেন আপনি।
//এল//