সংগৃহীত ছবি
যুক্তরাষ্ট্রে ৫০টি স্টেটে একসঙ্গে ভোট হলেও মূলত সবারই নজর থাকে সুইং স্টেটের দিকে। গুরুত্বপূর্ণ সাতটি সুইং স্টেটে ভোটের সবশেষ তথ্যে উঠে এসেছে চমকপ্রদ তথ্য।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, সুইং স্টেসগুলোয় ট্রাম্প নাকি কমলা কে এগিয়ে, তা এখনই কার্যকরভাবে বলা কঠিন। তবে তাদের মধ্যে ব্যবধান খুবই কম।
এর আগে, জরিপের তথ্যে বলা হয়েছিল, কমলা হ্যারিস পেনসিলভানিয়ায় এগিয়ে রয়েছেন, যেখানে দুই প্রার্থীর মধ্যে আগে সমতা ছিল।
গুরুত্বপূর্ণ এই অঙ্গরাজ্যটিকে নির্বাচনী যুদ্ধক্ষেত্রের মানচিত্রে সবচেয়ে বড় পুরস্কার বলে মনে করছেন অনেক বিশ্লেষক। যার কারণে কমলা এবং ট্রাম্প ব্যাপক প্রচার চালিয়েছেন সেখানে।
পেনসিলভানিয়ার বাইরে নেভাদা, জর্জিয়া, নর্থ ক্যারোলিনা এবং অ্যারিজোনায় ট্রাম্প এখনও এগিয়ে রয়েছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।
বিবিসি জানিয়েছে, এক এক রাজ্যে এক এক সময় ভোটগ্রহণ বন্ধ হবে। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় রাত ১১টা নাগাদ সব রাজ্যই ভোটগ্রহণ বন্ধ করে দেবে। এক্ষেত্রে হাওয়াই এবং আলাস্কা কিছুটা ব্যতিক্রম। কারণ, সেখানে অন্য রাজ্যের আরও পরে শেষ হবে ভোটগ্রহণ। প্রথাগতভাবে, ক্যালিফোর্নিয়ায় স্থানীয় সময় রাত ১১টায় ভোট শেষ হওয়ার পরপরই সামগ্রিকভাবে স্পষ্ট হয়ে যায় যে, কে জিতছেন।
তবে কিছু পর্যবেক্ষক বলছেন, এই বছর দ্রুতই ফল জানা যেতে পারে। আবার কারও দাবি, বিজয়ীর নাম জানতে কয়েক ঘণ্টার পরিবর্তে কয়েক দিনও লাগতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রে ৫০টি স্টেটে কে এগিয়ে, সেটি সমর্থনের ভিত্তিতে ও জরিপের মাধ্যম আগেভাগে ধারণা করা যায়। কিন্তু সুইং স্টেটগুলোতে তা অনুমান করা কঠিন। হোয়াইট হাউসে জয়ী হওয়ার জন্য কে ২৭০টি ইলেক্টোরাল ভোট পাবে- তা নির্ধারণ করবে এই সাতটি সুইং স্টেট। এই স্টেটগুলোর মোট ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট সংখ্যা ৯৩। সাতটি স্টেটকে সুইং বলা হচ্ছে। সেগুলো হলো অ্যারিজোনা, জর্জিয়া, মিশিগান, নেভাদা, নর্থ ক্যারোলাইনা, পেনসিলভানিয়া ও উইসকনসিন।
সুইং স্টেট
‘সুইং স্টেট’ -যেগুলো সাধারণত কোনও নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের পক্ষে থাকে না, বরং এই নির্বাচনে যেকোনও দিকে যেতে পারে। কমলা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্প তাদের প্রচারণায় এই সাতটি অঙ্গরাজ্যে বিশেষভাবে মনোযোগ দিচ্ছেন। এই রাজ্যগুলো হলো: অ্যারিজোনা, জর্জিয়া, মিশিগান, নেভাডা, নর্থ ক্যারোলাইনা, পেনসিলভানিয়া ও উইসকনসিন। এখানে কয়েকটি ভোটের ব্যবধানই নির্বাচনের ফলাফল নির্ধারণ করতে পারে।
//এল//