‘হাওয়া‘ সিনেমা বন্ধ ছাড়া অন্য আর পথ ছিলো না?
‘হাওয়া’ সিনেমা বন্ধে লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী। বন্যপ্রাণী-অভয়ারণ্য-নদনদী সব তো বিপন্নের পথে, অন্তত এযাত্রা 'বন্যপ্রাণী আইন'র সংরক্ষণ নিশ্চিত হলো। আমরা হাততালি দিতে পারি।
সবে আমাদের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি আলোর মুখ দেখছে, এরমধ্যে আমাদের আইন এত শক্তিশালী হয়ে উঠল?
সিনেমা বন্ধ ছাড়া অন্য আরপথ ছিলো না? এদের আইনবিভাগ কতটা মূর্খ হলে হাওয়া সিনেমার বিপরীতে ২০কোটি টাকার মামলা করে?
অবশ্যই আমি বন্য প্রাণী রক্ষার পক্ষে, আপনাদের সাহেবরা হরিণ ধরে ধরে খেয়ে উৎসব করে আর, যদি সত্যিই এতটা শক্তি থাকে আপনাদের, চিড়িয়াখানা বন্ধ করে দেখান তো। যেখানের পশুদের দেখে দেখে শিশুদের মনের বিকাশ রুদ্ধ হয়?
এটা তো একটা সিনেমার দৃশ্য। অভিনয়। বাস্তবে চিড়িয়াখানার প্রাণীদের যুগের পরে যুগ
বন্দী অবস্থায় মনের শরীরের কত অসহনীয় একটা পরিস্থিতিতে কাটছে,কল্পনা করেন তো?
আর হাওয়া ছবিতে দেখানো হয়েছে,মাঝি নামের এক ডাকাতের নির্দেশনায় ট্রলারটি যাচ্ছে। বেশিরভাগই
বদমাশ,, তাদের কাছে খুন ধর্ষণ কিছু না, তারা একটা শালিক কে খাঁচায় ভরে নেবে এ কী এমন অস্বাভাবিক? যারা পজেটিভ চরিত্র, নিজের শখে বন্য প্রাণী পোষে, সিনেমায় তেমন কোন চিত্রায়ণ থাকলে তাও প্রতিবাদের বিষয়টা মানা যেতো।
অভিনেত্রী ববিতা তো রাজ্যের বুনোপাখি বন্দী করেন। খাঁচায় ঘুঘুর ডাক শোনে ঘুম ভাঙে তাঁর। চ্যানেল আই এর শাইখ সিরাজের নেয়া এই ইন্টারভিউ বারবার প্রচার হয়। এতো বাস্তব চিত্র।
একবার কথাশিল্পী হুমায়ুন আহমেদ একজন ডাক্তারকে বোকা চরিত্রে নাটকে দেখানোর জন্য, দেশের ডাক্তাররা প্রতিবাদে পথে নেমেছিল। এই আমাদের অবস্থা।
আমাদের শিল্পের স্বাধীনতা থাকবে না? এ কেমন কথা? আমাদের সরকারি বেশিরভাগ মানুষ ঘুষের ঘ্রাণ পেলে একেবারে নাকেমুখে ততপর হয়ে ওঠে।
অদ্ভুত!
তারমানে আমি যে স্বাধীন সাহিত্য করি, যেখানে নিরপেক্ষতা থাকে, শিল্পে মানুষের রূপ তৈরি হয়, তারমানে শিল্পে নেগেটিভ কিচ্ছু দেখানো যাবে না?
আসলে এই মামলা করা উচিত ছিল সেন্সর বোর্ডের বিরুদ্ধে। এসব কারণেই আমাদের শিল্প এগোনোর পথ
পায় না। খুবই দুঃখজনক।
//জ//