
গীতিকারের ক্রেডিট দেওয়া হলো মীরা দেব বর্মনকে
অবশেষে কোক স্টুডিও ভুল শুধরে নিল। ‘শোন গো দক্ষিণ হাওয়া’ গানটির গীতিকার হিসেবে মীরা দেব বর্মনকে ক্রেডিট দিল কোক সটুডিও। এর আগে কোক স্টুডিও গানটির কথা ও গীতিকার হিসেবে শচীন দেব বর্মনকে ক্রেডিট দিয়ে যাচ্ছিল।
কোক স্টুডিওর ‘শোনো গো দখিন হাওয়া’ গানটির ফিউশন নিঃসন্দেহে ভালো লাগার মত। কিন্তু এই গানের গীতিকার হিসেবে মীরা দেব বর্মনের ক্রেডিট ব্যবহার না করে ভুলবশত শচীন দেব বর্মণকে গীতিকার হিসেবে চালিয়ে দেওয়া হচ্ছিল। কয়েকজন বিষয়টি ধরিয়ে দেয়ার পর স্টুডিওর পক্ষ থেকে তা শুধরে নেওয়া হয়। মূলত এই গানটির কথা লিখেছেন মীরা দেব বর্মণ। কণ্ঠ ও সুর দিয়েছেন শচীন দেব বর্মণ।
মীরা দেব বর্মণ হলেন শচীন দেব বর্মণের স্ত্রী। আর রাহুল দেব বর্মণের মা। পাশাপাশি এই নারী বাংলা ভাষার আধুনিক সুরকার ও গীতিকারদের একজন যা এতদিন আড়ালেই ছিল।
লেখক ফাহাম আব্দুস সালাম বাংলা ‘ভাষায় প্যাশনেট প্রেমের গান লিখতে পারে নাই কেন কোনো নারী’ এমন প্রশ্নের জবাবে কয়েকদিন আগে বলেছিলেন, এটা মূলত, এক ধরনের গত শতকীয় তথ্যের স্বল্পতার ভ্রান্তি। যে ভ্রান্তিতে অনেকেই পড়েন।’
তিনি বলেন, ‘‘বাংলা ভাষায় আমার ভাবনায় ৫ টা প্যাশনেট প্রেমের গানের ৩টাই নারীদের লেখা। এর মধ্যে দুটি মীরা দেব বর্মণের লেখা। ‘শোনো গো দখিন হাওয়া’ কিংবা ‘বর্ণে, গন্ধে, ছন্দে গীতিতে হৃদয়ে দিয়েছ দোলা’ চাউর হয় উনার স্বামী শচীন দেব বর্মণের লেখা ও গাওয়া হিসেবে।’’
তিনি আরো বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথ ও পঞ্চ কবির গান প্রভাবিত ওই দশকগুলোতে মীরা দেব বর্মণের মতোন ‘নিটোল পায়ে রিনিক ঝিনিক, পায়েলখানি বাজে’ র মতো আধুনিক গান আর কে লিখতে পেরেছেন? একটু গুগল করলেই উনার লেখা গানগুলো নিয়ে জানা যায়।’
লেখক ফাহাম আব্দুস আক্ষেপ করে বলেন, ‘শচীন দেব বর্মণ ও রাহুল দেব বর্মণের কিচেনে ভাত রেঁধে দেয়ার ‘মহিমান্বিত মহিলা’ খেতাব ছাড়া আর কোনো স্বীকৃতিই যেন ভদ্রমহিলাকে দিলো না আগের শতকের গান্ডু সমাজ। কিন্তু ভালো কথা হচ্ছে, আমাদের প্রজন্ম উনাকে উনার প্রাপ্য সম্মান দিচ্ছে, গুগল করে হলেও। কেউ ভুল করলে শুধরে দিচ্ছে।’
ইউ