চিনি:
নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধির দৌড়ে নাজেহাল ভোক্তা। নতুন করে চিনির দাম বাড়ায় ব্যয়ের হিসাব-নিকাশে মিলছে না সমীকরণ। ক্রেতারা বলছেন, নির্ধারিত সময়ের আগেই বাজারে চিনি বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। কোথাও দাম দিয়েও মিলছে না চিনি। বিশ্লেষকরা বলছেন, সরকারের যেকোনো সিদ্ধান্ত হওয়া উচিত জনবান্ধব।
নিত্যপণ্যের আগুন বাজারে মূল্য কমার চেয়ে বৃদ্ধির প্রতিযোগিতাই যেন মূখ্য। সে দৌড়ে নাম লেখাল চিনিও। বাজার ঘুরে তেল, আটা-ময়দার সঙ্গে চিনির দাম বৃদ্ধিতে ক্রেতার ব্যয়ের সমীকরণটা যেন মিলছেই না।
দেশের বাজারগুলোর বিশ্লেষণে পাওয়া গেছে, স্থানভেদে খোলা চিনির দাম কোথাও ১০৫ টাকা কোথাও ১২৫ টাকা। সংকট রয়েছে খোলা চিনির। প্যাকেট চিনি থাকলেও দাম বেশি। ক্রেতারা বলছেন, আয়ের চেয়ে ব্যয়ের ভার দিন দিন দীর্ঘ হওয়ায় হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। এরপরও বাজারে সরকার পক্ষের নজরদারি না থাকায় অসাধু চক্রের ফাঁদে নাজেহাল সবাই।
একজন বিক্রেতা জানায়, বেশি দামে কিনতে হচ্ছে বলেই বিক্রি হচ্ছে চড়া মূল্যে। আমাদের কিছু করার নেই। আমরা খোলা চিনি পাইনা। পেলেও বেশি দাম দিয়ে কিনতে হয়। এর চেয়ে কমে বিক্রি করতে গেলে আমাদের ব্যবসা বন্ধ করতে হবে।
একজন ক্রেতা বলেন, কোনো কিছুর দামই তো কমে না। এখন আবার চিনির দামটাও বাড়ল। আমাদের কথা কেউ ভাবে না। বাসা ভাড়া, সন্তানদের পড়ালেখার খরচের পর বাজারে যখন আসি তখন খুব অসহায় মনে হয়।
এ বিষয়ে কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ক্যাব এর সহ সভাপতি এস এম নাজির হোসেন জানান, এলসি বন্ধ বা ডলারের দাম বৃদ্ধি একটি অজুহাত মাত্র। ব্যবসায়ীদের পকেট ভারি করতে ভোক্তার উপর চাপিয়ে দেয়া হয় মূল্য বৃদ্ধির ভার।
আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে সরকারের বেধে দেয়া নতুন মূল্যে খোলা চিনি ১০৭ টাকা ও প্যাকেটজাত ১১২ বিক্রির কথা থাকলেও মানা হচ্ছে না নিয়ম।
//জ//