শাহীন মোলহেম: রাজধানীর বাজার ঘুরে দেখা যায় এসপ্তাহে সবজি অপরিবর্তিত থাকলেও কাচাঁমরিচসহ বেগুনের কেজি চড়াদামেই বিক্রি হচ্ছে। এক কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১২০-১০০ টাকায় আর বোম্বাই মরিচের শ’ ৫০০ টাকায়। বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকায়। সব চেয়ে কম দামে সবজি বিক্রি হচ্ছে ঝিঙা ও দুনদুল ৩০টাকায় । ঈদের পর রাজধানীর বাজারে সব ধরনের চালের দাম তিন থেকে আট টাকা বেড়েছে। খুচরা বাজারে মোটা চাল বিক্রি হয়েছে ৫২ থেকে ৫৫ টাকা, মিনিকেট ৭০ টাকা, কাটারি ৭৫ টাকা, নাজিরশাইল ৭৫ টাকা। আটা-ময়দা কেজিতে প্রায় ১০ টাকা বেড়ে খোলা আটা ৫০ টাকা, প্যাকেট (দুই কেজির) আটা ৯৬ টাকা, প্যাকেট ময়দা ৬৩ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে। রশুন ভারতীয় কেজিতে বেড়েছে ৫০ টাকা বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ২৫০, দেশী রশুন ১৪০ টাকা চিনির দাম বেড়েছে ৯০ টাকা, কমেছে চায়না আদা কেজি প্রতি ২০টাকা। ডিম ডজনে বেড়েছে ১৩০ টাকা এছাড়া পিয়াঁজ ৪০টাকা, আলু ২০ টাকা দামেই বিক্রি হচ্ছে।
মোহম্মদপুর পাইকারী বাজার কৃষি মার্কেটের বিক্রেতারা বলেছেন, বাজারে সবজি সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে। গত সপ্তাহের মতো এ সপ্তাহেও সবজির বাজার ৪০-৮০ টাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ রয়েছে। তবে সবজি দাম নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে বাজারে আসা ক্রেতারা। বাজার করতে আসা সাগর সরকার জানালেন, প্রইভেট কার চালিয়ে বেতন পাই বিশ হাজার টাকা। সংসারে স্ত্রী সন্তান বৃদ্ধ মা-বাবা নিয়ে সংসার। তেল, ডাল, চাল, মাছ ও সবজি থেকে শুরু করে সব কিছুরই যেভাবে দাম বেড়েছে, সংসার চালাতে দিশাহারা হয়ে যাচ্ছি। তিনি বলেন, খরচ বাড়লেও আমার বেতন আগের মতোই আছে। মাংসের দোকানে ক্রেতা নেই বলে জানালেন, ফরিদুর রহমান পাঠান। ব্যবসায়ী ফরিদুর রহমান আরো বলেন, মাংস বিক্রি কমে গেছে। আগে দৈনিক দু-তিনটি গরুর মাংস বিক্রি করা যেত। এখন সারা দিনে একটি গরুর মাংস বিক্রি করাও কঠিন হয়ে গেছে, তার পরেও দাম কমাতে পারছি না ৭০০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে।
এদিকে ধনিয়া পাতা ১২০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, কাঁকরোল ৮০ টাকা, টমেটো ৭০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৩০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, শসা ৬০ টাকা, কচুর মুখি ৬০ টাকা, কচুর লতি ৫০ টাকা, মূলা ৫০ টাকা, ধুন্দল ৩০ টাকা, ঝিঙ্গা ৩০ টাকা, পেঁপে ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা এবং বগুড়ার লাল আলু ৪০ টাকা আর হল্যান্ডের আলু ২০টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে লাউ ৫০ টাকা (আকার ভেদে), ফুলকপি ও বাঁধাকপি ৪০ টাকা ও চাল কুমড়া ৪০ টাকা পিস হিসেবে এবং মিষ্টি কুমড়ার ফালি ৩০ টাকা, কাঁচা কলা ৪০ টাকা ও লেবু ২০ টাকা হালি হিসেবে বিক্রি হচ্ছে।
মহাখালি কাচাঁবাজারের সবজি বিক্রেতা তরুণ বেপারী বলেন, গত দুই সপ্তাহ ধরে পণ্য সরবরাহ ঠিক আছে। পণ্য বাজার আসতে কোনো অসুবিধা হচ্ছে না। আমরা যদি কম দামে কিনতে পারি, তাহলে ক্রেতাদেরও কম দামে দিতে পারি। ক্রেতারা এটা না বুঝে সব ক্ষোভ আমাদের ওপরই ঝাড়েন। তরুণ বেপারী আরো বলেন, ক্রেতার মুখের দিকে তাকিয়ে থাকি কিছুই বলতে পারি না।
উইমেনআই২৪ডটকম//জ//২৭-০৫-২০২২//০২.৪৪ পি এম