উইমেনআই২৪ প্রতিবেদক: সোনালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ (এমডি) ৯ জনকে ঋণ জালিয়াতির মাধ্যমে সাড়ে ২৭ লাখ টাকা আত্মসাতের দায়ে পৃথক দুই ধারায় ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বুধবার ঢাকার বিশেষ দায়রা জজ আদালত-৫ এর বিচারক মো. ইকবাল হোসেন এ রায় দেন। সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- ব্যাংকের সাবেক এমডি হুমায়ুন কবির, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) মাইনুল হক, জিএম ননী গোপাল নাথ, ডিজিএম শেখ আলতাফ হোসেন ও সফিজ উদ্দিন আহমেদ, এজিএম কামরুল হোসেন খান ও সাইফুল হাসান এবং প্যারাগন নিট কম্পোজিট লিমিটেডের এমডি সাইফুল ইসলাম রাজা ও পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন।
সরকারি কর্মচারী কর্তৃক সম্পত্তি আত্মসাতের দায়ে তাদের প্রত্যেককে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ২৭ লাখ ৫০ হাজার ৬৮১ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। যা প্রত্যেকের কাছ থেকে সমহারে রাষ্ট্রের অনুকূলে আদায়যোগ্য হবে।
আর প্রতারণার দায়ে প্রত্যেককে সাত বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। অর্থদণ্ড না দিলে তাদের আরও তিন মাস কারাভোগ করতে হবে।
রায় ঘোষণার সময় ডিএমডি মাইনুল হক, এজিএম সফিজ উদ্দিন আহমেদ, ডিজিএম শেখ আলতাফ হোসেন এবং এজিএম কামরুল হোসেন খান আদালতে হাজির ছিলেন। রায় ঘোষণা শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। অপর ৫ আসামি পলাতক। আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতার পরোয়ানা জারি করেছেন।
ঘোষিত রায় অনুযায়ী, সরকারি কর্মচারী কর্তৃক সম্পত্তি অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ করে আত্মসাতের দায়ে তাদের প্রত্যেককে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ২৭ লাখ ৫০ হাজার ৬৮১ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। যা প্রত্যেকের কাছ থেকে সমহারে রাষ্ট্রের অনুকূলে আদায়যোগ্য হবে। আরেক ধারায় প্রত্যেককে ৭ বছরের কারাদণ্ড পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। অনাদায়ে তাদের আরও তিন মাস কারাভোগ করতে হবে। তবে দুই ধারার সাজা একত্রে চলবে। সেক্ষেত্রে সাজাপ্রাপ্তদের ১০ বছর কারাভোগ করতে হবে বলে নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মির আহমেদ আলী সালাম।
উল্লেখ্য, ২৭ লাখ ৫০ হাজার ৬৮১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০১৩ সালের ১ জানুয়ারি দুদকের উপ-সহকারি পরিচালক মুজিবুর রহমান রমনা মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন। ২০১৪ সালের ২২ মে মামলাটি তদন্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন দুদকের সহকারি পরিচালক মশিউর রহমান।
উইমেনআই২৪//ইউ//২৫-০৫-২০২২//২:৫১ পিএম//