উইমেনআই২৪ প্রতিবেদক: কলেরা বা ডায়রিয়ার প্রকোপ রোধে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দেয়া কলেরা টিকা দেশে আসা শুরু করবে ৯ মে থেকে। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরের কাগজকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (রোগনিয়ন্ত্রণ) ও মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম। তবে ওই দিন কখন এবং কী সংখ্যক টিকা আসবে তা সুনির্দিষ্টভাবে জানা যায়নি।
অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম বলেন, ডব্লিউএইচওর পাঠানো কলেরা টিকা এ মাসের ৯ তারিখ থেকে দেশে আসবে। তবে কয় ভাগে কী সংখ্যক টিকা আসবে সেটি এখনো আমাদের জানানো হয়নি। ২৩ লাখ টিকা আমাদের দেয়া হবে। আমরা আগে টিকাটা মজুত করতে চাই। পুরো টিকা ওরা আমদের একবারে দিয়ে দিলে আমরা খুব শিগগিরই টিকাদান কার্যক্রম শুরু করবো। সম্প্রসারিত টিকা দান কর্মসূচি (ইপিআই) থেকে এই বিষয়ে মাইক্রো প্ল্যানিং করা হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব টিকা দানের তারিখ ঘোষণা করা হবে। দু’টি টিকার মধ্যে দুই সপ্তাহের ব্যবধান প্রয়োজন হয়। আমরা অপেক্ষা করছি কয় দিনে কী সংখ্যক টিকা আমাদের হাতে আসে।
২৮ এপ্রিল মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, কলেরা বা ডায়রিয়ার প্রকোপ রোধে ডব্লিউএইচও বাংলাদেশকে ৭৫ লাখ কলেরা টিকা দেবে। এর দুই ডোজ নিলে ৩ বছর পর্যন্ত কলেরা বা ডায়রিয়া থেকে নিরাপদ থাকা যাবে। এই টিকা ১০ থেকে ১৫ মে’র মধ্যে চলে আসবে।
এর আগে এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, দক্ষিণখান, মিরপুর, মোহাম্মদপুর ও সবুজবাগ এই ৫ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় মে মাসে ২৩ লাখ মানুষকে কলেরার টিকা দেয়ার কথা জানিয়েছিলো স্বাস্থ্য বিভাগ। তখন জানানো হয়, মে মাসে প্রথম ডোজ ও জুনে দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেয়া হবে। এক বছর বয়স থেকে সব বয়সী মানুষ মুখে খাওয়া এই কলেরার টিকা পাবে। তবে গর্ভবতী নারীরা এই টিকা পাবেন না। সারা দেশে কেন এই টিকা দেয়া হবে না, এমন প্রশ্নের উত্তরে স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে জানানো হয়েছিল, টিকার এখন খুব সংকট। নাইজেরিয়া থেকে টিকা কেটে বাংলাদেশকে টিকা দেয়া হচ্ছে।
উইমেনআই২৪ডটকম// জে // ০৬-০৫-২০২২//০৯.২৫ এ এম