শাহীন মোলহেম: প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ উদযাপনের জন্য গত কয়েকদিন ধরেই মহানগর ছাড়তে শুরু করেছে মানুষ। আজ রোববার ৫দিনেও (১ মে) কমলাপুর ট্রেনস্টেশনে ভোর থেকেই যাত্রীদের চাপ দেখা যায়। শনিবার ট্রেন শিডিউল বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটেনি। দু-একটি ট্রেন ৪০-৪৫ মিনিট দেরি করে ছাড়লেও যাত্রীরা আনন্দেই ঈদযাত্রা করেছেন। আজও সকালে ট্রেন বিপর্যয় নেই এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত। কমলাপুর রেলস্টেশনের ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার বলেন, এখন পর্যন্ত বড় কোনো শিডিউল বিপর্যয় হয়নি। গত চার দিনের মতো আজও রোববার অধিকাংশ ট্রেন যথাসময়ে ছেড়ে গেছে।
মাসুদ সারওয়ার বলেন, শনিবার থেকে ঈদযাত্রায় ৩৯ জোড়া ট্রেন ঢাকা থেকে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে গেছে। আর সব মিলিয়ে ট্রেন আসা-যাওয়া করেছে ১২২টি। অতিরিক্ত যাত্রীর বিষয়ে স্টেশন ম্যানেজার বলেন, ঈদে যাত্রীর চাপ বেড়ে যায়। এটা বিবেচনায় নিয়ে অতিরিক্ত বগি যোগ করা হয়েছে। আর প্রতিটি ট্রেনে অতিরিক্ত ৪০ শতাংশ টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে ‘স্ট্যান্ডিং’ যাত্রীদের জন্য।
গাবতলী বাস টার্মিনালে যাত্রীদের তেমন চাপ দেখা যায়নি। যাত্রীরা জানিয়েছেন, কোনো ধরনের ঝামেলা ছাড়াই এসি,নন-এসি বাসের টিকিট কিনতে পারছেন। টিকিট কাউন্টারের বিক্রেতারা জানান, সকালে ভিড় কম থাকলেও দুপুরের দিকে কিছুটা বেড়তে পারে। মহাখালী বাস টার্মিনালে ঘরমুখী মানুষের চাপ কম দেখা গেছে। যাত্রী কম থাকায় নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে ভাড়া বেশি নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন কেউ কেউ। সায়েদাবাদের বাস কাউন্টারগুলোতেও যাত্রী উপস্থিতি কম ছিল।
মহাখালী বাস স্টেশনের সৌখিন গাড়ীর চালক বলেন, তবে দূরপাল্লার যাত্রীর চাপ কম দেখা গেছে। ঢাকার পাশের জেলাগুলোর যাত্রী বেশি দেখা গেছে। ঘরমুখী মানুষেরা হাতে ব্যাগ নিয়ে নির্দিষ্ট বাসের কাউন্টার খুঁজে বেড়াচ্ছেন অনেকে দেখা যায়। যারা আগে টিকিট কাটেননি বা টিকিট পাননি, তাদের একমাত্র ভরসা এখন লোকাল বাস। এই বাসগুলোতে গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়াও। তবে ঈদযাত্রায় মোটরসাইকেলের দখলে এখন রাস্তা।
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর প্রতিনিধি জানান,বঙ্গবন্ধু সেতুতে ঈদে ঘরমুখী যাত্রায় এবার বেড়েছে মোটরসাইকেলের ব্যবহার। ঈদের ছুটিতে অসংখ্য যাত্রী নিজস্ব বাহন মোটরসাইকেল নিয়ে ছুটছেন এপথে বাড়ির উদ্দেশে। গাজীপুর প্রতিনিধি জানান, ঈদে বাড়ি ফেরা মানুষের চাপ থাকলেও গাজীপুরে ঢাকা-টাঙ্গাইল ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ফাঁকা। কোনো মহাসড়কে ছিল না যানজট। ১১টা পর্যন্ত ঢাকা-টাঙ্গাইল ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের চিত্র ছিল এমনই।
কুমিল্লা প্রতিনিধি জানান, ঈদ সামনে রেখে প্রতি বছর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হলেও হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নের ব্যাপক তৎপরতার ফলে এ বছর মহাসড়কের কুমিল্লার দাউদকান্দি থেকে কক্সবাজারের টেকনাফ পর্যন্ত কোনো যানজট ছিল নেই। যার ফলে কোনো প্রকার ভোগান্তি ছাড়াই পরিবার-পরিজন নিয়ে রাজধানী ছেড়ে যাওয়া মানুষ বাড়ি যেতে পারছেন যথাসময়ে।
উইমেনআই২৪ ডটকম//এল// 11.14 am