শাহীন মোলহেম: দু’চারটি দোকানে কোম্পানির ৫ লিটারের সানফ্লাওয়ার তেলের বোতল দেখা গেলেও রূপচাঁদা, বসুন্ধরা, তীর, ফ্রেশ ও পুষ্টির দেখা মিলেনি। দোকানিদের সোজাসাপ্টা উত্তর কোম্পানি না দিলে আমরা পাবো কই।
মোহম্মদপুর কৃষি মার্কেটের ব্যবসায়ী জালাল উদ্দীন তালুকদার জানান, কোম্পানি দিচ্ছে না তাই আমাদের দোকানে বোতলজাত কোন সয়াবিন তেল নেই। সানফ্লাওয়ার ৫ লিটার ১৬৭০ টাকা, ফরচুন ৯৬৫ টাকা চেফ ১২৯০ এবং কিংসানফ্লাওয়ার ১৭৬০ টাকা সান ৭৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
দেশি পিয়াজ পাইকারি মূল্য প্রতিকেজি ২৪-২৫ টাকা, রসুন চায়না পাইকারি মূল্য ১০০ টাকা, আদা চায়না ৭০-৭৫ টাকা, ভারতীয় আদা কেজি ৬৫-৭০, দেশি রসুন ৪৫-৫০ টাকা কেজি পাইকারি বিক্রি হচ্ছে।
মোহম্মদপুর রিং রোডের বাসিন্দা ফরিদ উদ্দিন বাজার করতে এসে রূপচাঁদা তৈল না পেয়ে বলেন, মিল মালিক বা আমদানিকারক যদি সরকার দলীয় নেতা বা পৃষ্ঠপোষক হয় দেশ দেউলিয়া হতে সময় লাগবে না। যার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত বাজারে সয়াবিন তেল নেই। নুরজাহান রোডের বাসিন্দা শায়লা হক জানালেন, ঈদের আর কয়েকদিন বাকি, এরই বাজারে সয়াবিন তেল নেই। পণ্যের দাম বেড়েছে কমার লক্ষ্মণ নেই।
পরিস্থিতি সামাল দেয়া না গেলে ঈদের আগেই সংকটের বৃত্তটা আরো বড় হবে বলে শংকা ব্যবসায়ীদের। মোহম্মদপুর কৃষি মার্কেটের ব্যবসায়িরা সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষকে সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানিয়েছেন। গত ২ সপ্তাহ ধরে উৎপাদক ও মিল মালিকদের কাছে থেকে তেল না পাওয়ায় বিক্রি নেমেছে শূন্যের কোটায়। ব্যবসায়িরা বলেন স্মরণকালে এমন সংকট দেখেননি তারা। স্বস্তিতে নেই অন্যান্য পাইকারি তেল বিক্রেতারাও। রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা খুচরা ব্যবসায়ীদের তেল সরবরাহ করতে না পারায় খালি দোকানে বসে অলস সময় পার করছেন তারা।
উইমেনআই২৪ডটকম// জে // ২৯-০৪-২০২২//০২.৪৩ পি এম