উইমেনআই২৪ প্রতিবেদক: করোনা মহামারির কারণে গত দু’বছর বাংলা নতুন বছরকে বরণ করে নিতে ছিল না কোনো আয়োজন, হয়নি মঙ্গল শোভাযাত্রাও। তাই এবার নতুন বছরকে বরণ করতে চলছে নানা প্রস্তুতি।
করোনা মহামারির ধাক্কা কাটিয়ে দুই বছর পর বাংলা নতুন বছরকে আনুষ্ঠানিকভাবে বরণ করে নিতে প্রস্তুত চট্টগ্রামের সর্বস্তরের মানুষ। মঙ্গল শোভাযাত্রাকে রঙিন করে তুলতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।
মঙ্গল শোভাযাত্রা চারুকলা ইনিস্টিউটের সামনে থেকে বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ১০টায় শুরু হয়ে নগরীর কাজির দেউড়ি এলাকায় শেষ হবে।
লোকজ সংস্কৃতিকে ফুটিয়ে তুলতে পাখি, প্যাঁচা, পুতুলসহ বিভিন্ন প্রাণীর প্রতিকৃতি তৈরি করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে গতি ও শক্তির প্রতীক ফুটিয়ে তুলতে তৈরি হচ্ছে ঘোড়া।
নানা আয়োজনে নতুন বছরকে বরণ করে নেওয়া হলেও মূল আকর্ষণ থাকে চারুকলা অনুষদের মঙ্গল শোভাযাত্রা। শিল্পের প্রয়োজন, বিবেকের জন্য, জীবনের জন্য এই শ্লোগানকে সামনে রেখে চলছে রঙতুলির আঁচড়, আবার অনেকে ব্যস্ত শোভাযাত্রার বিভিন্ন অনুষঙ্গ তৈরিতে।
লোকজ সংস্কৃতিকে ফুটিয়ে তুলতে পাখি, প্যাঁচা, পুতুলসহ তৈরি করা হচ্ছে বিভিন্ন প্রাণীর প্রতিকৃতি। সেই সঙ্গে হাতপাখা, চরকিসহ তৈরি হচ্ছে আরও কিছু বৈশাখী অনুষঙ্গ।
চারুকলার শিক্ষার্থীরা জানান, এবার বৈশাখের শোভাযাত্রায় গতি ও শক্তির প্রতীকস্বরূপ ঘোড়ার ডামি তৈরি করা হচ্ছে। দুই বছরের করোনা মহামারির স্মৃতি ও পুরনোকে পেছনে ফেলে দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাবে দেশ, এই প্রত্যাশায় তৈরি করা হচ্ছে ঘোড়াটি। আর শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে দম ফেলার ফুরসত নেই তাদের।
শিল্পের সঙ্গে বাঙালি সংস্কৃতির সম্পর্ক ও লোকজ ধারাগুলোকে ফুটিয়ে তোলার মাধ্যমে দুই বছর পর মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন করা হবে বলে জানান চারুকলা ইনিস্টিটিউটের শিক্ষক।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনিস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক সুব্রত দাশ জানান, বাঙালি সংস্কৃতির যে লোকজ ফরমগুলো আছে সেগুলোকে মাথায় রেখে মঙ্গল র্যালিকে সাজানো হবে। এভাবে র্যালি করার চেষ্টা চলছে।
উইমেনআই২৪ডটকম/জে//১৩-০৪-২০২২//১১.২১ এ এম