উইমেনআই২৪ ডেস্ক: স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, যেসব এলাকায় করোনা সংক্রমণের হার বেশি সেসব এলাকায় আংশিক লকডাউন বাস্তবায়ন করার জন্য সরকারকে পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। আগামী দু'একদিনের মধ্যে এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে আসতে পারে।
সোমবার দুপুর ১টায় অনলাইনে যুক্ত হয়ে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে দক্ষিণ ব্লকের সম্প্রসারিত ভবনের উদ্বোধন শেষে এ কথা বলেন তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের করোনা সংক্রমণ যাতে না বাড়ে তাই আমরা সরকারকে কিছু পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে বিনোদন কেন্দ্রগুলো আপাতত বন্ধ করতে বলা হয়েছে। বিয়ে-শাদী, সামাজিক অনুষ্ঠান, যেসব অনুষ্ঠানে লোক সমাগম হয় সেগুলো বন্ধ করার জন্য সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে। রেস্টুরেন্টে খাওয়া-দাওয়াও যাতে কম হয় সেটাও বলেছি। যানবাহনে চলাচলেও যাত্রী সংখ্যা অর্ধেক কিংবা তার কমে নামিয়ে আনার জন্য আমরা পরামর্শ দিয়েছি। অফিস আদালতে কাজকর্ম কমিয়ে আনার পরামর্শ দিয়েছি। মাস্ক ছাড়া বাইরে ঘোরাঘুরি করলে জরিমানা করার পরামর্শ দিয়েছে। আমাদের পরামর্শগুলো প্রধানমন্ত্রীর ছে পাঠানো হয়েছে। এটি তিনি অনুমোদন দিলে বাস্তবায়ন করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। মার্চ মাসের শুরুর দিকে সংক্রমণের দুই শতাংশে নেমে এসেছিল। সেটা এখন ১৮ শতাংশে পৌঁছেছে। এটা খুবই আশংকাজনক। গত এক সপ্তাহে আক্তান্তের সংখ্যা ৪৫ হাজার হারিয়েছে। এভাবেই বাড়লে একটা অংশ যদি হাসপাতালে আসে আমাদের পক্ষে সেবা দেওয়াটা দুরূহ হয়ে যাবে।’
‘এরই মধ্যে সব সরকারি হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ) খালি নেই। বেসরকারি হাসপাতালে কিছু আইসিইউ খালি আছে। আমরা আইসিইউ বাড়ানোর পদক্ষেপ নিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ৪০ টি আইসিইউ বিভিন্ন হাসপাতালে যুক্ত হবে। এছাড়া দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের একটি এইচডিইউ সেন্টার চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যেভাবে রোগী বাড়ছে, আমরা যদি আরো আইসিইউ সেন্টার চালু করি, তারপরও সবাইকে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হবে না।’
‘সংক্রমণের হার যদি একই হারে বাড়তে থাকে তাহলে আমাদের শুধু আইসিইউ বাড়ালেই হবে না। আমাদের দক্ষ জনবলের অভাব আছে। আইসিইউ চালানোর জন্য দক্ষ টেকনিশিয়ান, চিকিৎসক তৈরি করাও একটি চ্যালেঞ্জের কাজ।’
করোনা টিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমাদের করোনার টিকা কর্মসূচি চলছে। আমাদের এ মাসের টিকার চালানটি আসার কথা ছিল। আমরা সেটি পাইনি। এটা পাওয়ার জন্যে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তারা জুনের আগে টিকা দিতে পারবে না। আমরা অন্যান্য প্রতিষ্ঠান সঙ্গে যোগাযোগ করছি।’
এ সময় জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীর জামাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে স্বাস্থ্য সচিব মো. আবদুল মান্নান অনলাইনে যুক্ত ছিলেন।