উইমেনআই২৪ ডেস্ক: পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলায় বাংলাদেশ বিশ্বের রোল মডেল।
রবিবার প্যান প্যাসিফিক হোটেল সোনারগাঁও, ঢাকায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘নলেজ ডিসেমিনেশন এন্ড সাস্টেইনিবিলিটি ওয়ার্কশপ অন ইন্টিগ্রেটিং কমিউনিটি বেইজড এডাপটেশন ইন্টু এফরেস্ট্রেশন এন্ড রিফরেস্ট্রেশন’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘দেশকে ক্লিন ও গ্রিন করার লক্ষ্যপূরণে আন্তরিকভাবে কাজ করা হচ্ছে। নিজস্ব অর্থায়নে গঠিত ক্লাইমেট চেইঞ্জ ট্রাস্ট ফান্ডের মাধ্যমে জলবায়ু অভিযোজনমূলক বিভিন্ন সফল কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিশ্বের নজর কেড়েছে।’
পরিবেশ মন্ত্রী বলেন, বন অধিদপ্তর বাস্তবায়িত বাংলাদেশের উপকূলীয় বনায়ন ও পুনঃবনায়নে কমিউনিটিভিত্তিক অভিযোজন কর্মসূচি (আইসিবিএএআর) দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম সফল অ্যাডাপ্টেশন প্রকল্প। এই প্রকল্পের আওতায় দেশের উপকূলীয় ৫ জেলার ৮ উপজেলায় বাস্তবায়িত থ্রিএফভি (ফরেস্ট, ফ্রুট, ফিস, ভেজিটেবলস) মডেলসহ অন্যান্য অভিনব অভিযোজন কর্মকাণ্ড আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত হয়েছে। আইসিবিএএআর প্রকল্পের আওতায় বিগত চার বছর ধরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা, বিশেষজ্ঞ ও স্থানীয় মতামত এবং ফলাফল বিশ্লেষণ করে উপকূলের উপযোগী, জলবায়ু সহনশীল, অভিনব, প্রাকৃতিক ও প্রতিবেশভিত্তিক জীবিকায়ন কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে। এ কর্মকাণ্ড স্থানীয় উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ ও ব্যবস্থাপনায় জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি লাঘবকে সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে উপকূলীয় সবুজ বেষ্টনী গঠন ও সংরক্ষণ করা হয়েছে।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন মন্ত্রণালয়ের সচিব জিয়াউল হাসান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার, অতিরিক্ত সচিব ও প্রকল্পটির জাতীয় প্রকল্প পরিচালক মাহমুদ হাসান, অতিরিক্ত সচিব আহমদ শামীম আল রাজী, প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী এবং ইউএনডিপির আাবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জি প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে জলবায়ু পরিবর্তনের বর্তমান ও ভবিষ্যত প্রভাব মোকাবিলায় আইসিবিএএআর প্রকল্পটির মাধ্যমে বাস্তবায়িত জীবিকায়ন কার্যক্রম এবং ইফেকটিভনেস ও ইফিসিয়েন্সি স্টাডিসমূহ ‘জলবায়ু সহনশীল ও প্রতিবেশভিত্তিক উপকূলীয় জীবিকায়ন’ এবং ‘বাংলাদেশের জলবায়ু সহিষ্ণু ম্যানগ্রোভ প্রজাতির চারা উত্তোলন, রোপণ-কৌশল এবং বাগান ব্যবস্থাপনা’ শিরোনামে গ্রন্থভুক্ত করে তার বাংলা ও ইংরেজি ভার্শন দুটি’র মোড়ক উন্মোচন করা হয়।