শামীম আজাদ: সকল সৃষ্টিশীল মানুষের মতই আমিও অতিমারিতে বিপদে পড়েছিলাম। কাজ কর্ম বন্ধ। দেখলাম জ্ঞাত বিদ্যাও অনভ্যাসে অজ্ঞাত হয়ে যাবে। ব্রাত্য ও স্থানচ্যুত জন হয়ে দেখি হয়ে গেছি সংস্কার ও আত্মাভিমান মুক্ত। আমি অনলাইনে খুলে দিলাম আমার দুনিয়া। শুরু করলাম বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের শিশুদের বাংলা শেখানোর ক্লাশ দিয়ে। সে দায়িত্ব সহজেই নিয়ে নিলো উপল, ফারাহ্ ও হিমু। ওরা সফলভাবে তা চালিয়ে যেতে থাকলে আমারও জুম টুম একটু জানা হলে বিজয়ফুলের অপু ও বকবক বুকস এর রুমানা ডেকে নিলো গল্প বলায়। তারপর শুরু করলাম বিনে পয়সায় কাজ। যে ডাকে বিনে পয়সায় কাজ করে দিতে থাকি। এতে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও আনন্দ লেগে থাকলো।
লোকে বলে প্রচারেই প্রসার। আমার এই আবদ্ধ সময়ের কাজ নিয়ে এলো অসাধারণ এক জাতীয় স্বীকৃতি (ন্যাশনাল লটারি ইউকেতে সারা দেশের ১৩ জন এর একজন হলাম। পেলাম কমিউনিটি আর্টিস্ট এওয়ার্ড ২০২০)। এই মার্চ মাসে পেলাম ব্ল্যাক উইমেন ইনক্লুসিভ টিম থেকে লন্ডনে ২৬ নারীর একজন হলাম। শুধু তাই নয় বিলেতে স্টোরি টেলিং ও কবিতা ওয়ার্কশপের জন্য আয়ও হতে শুরু করলো সংগে অবশ্য স্বদেশের লেখার কাজের বিনিময়ে খাদ্য সরবরাহটা ছিল (ভাগ্যিস আছে)।
সবচেয়ে অবাক কাণ্ড এই যে লক ডাউনের ছ’মাসের মধ্যে পেয়ে গেলাম বিলেতের ছোটদের গ্রন্থ প্রকাশনা “বকবক বুক পাব্লিশারে”র আবাসিক কবির কাজ। আর মাত্র গত সপ্তাহে অর্জন করলাম টয়েনবী হলের আবাসিক স্টোরিটেলারের পদ।
আবাসিক কবি বা সাহিত্যিক হিসেবে কাজ করতে পারলে সৃষ্টিশীলতার আসে ব্যাপক সুযোগ, কাজ করার আনন্দ ও চ্যালেঞ্জ। কিন্তু তার মজাই আলাদা।