উইমেনআই২৪ ডেস্ক: পারস্য কবি জালাল উদ্দিন রুমির কয়েকটি কবিতা কোলম্যান বাকসের ইংরেজি অনূদিত ‘ইয়ার উইথ রুমি’ গ্রন্থ থেকে বাংলায় অনুবাদ করেছেন আনোয়ার হোসেইন মঞ্জু।
১
তোমার আলোতে শিখেছি কীভাবে ভালোবাসতে হয়,
তোমার সৌন্দর্য শিখিয়েছে কবিতা লেখার কৌশল।
তুমি আমার বুকের ভেতর নৃত্য করো,
যেখানে কেউ তোমাকে দেখতে পায় না,
আর সেই আলো পরিণত হয় শিল্পে।
২
অসুস্থ এক বন্ধুকে দেখতে যান মুহাম্মদ
এমন সহানুভূতি অধিক সহানুভূতি আনে,
সেখান থেকে ছড়িয়ে পড়ার সীমা-পরিসীমা থাকে না।
লোকটি মরণাপন্ন!
মুহাম্মদ তাঁর মুখ রোগীর মুখের কাছে নিয়ে তাঁকে চুম্বন করেন,
জীবন ফিরে পেতে শুরু করেন তাঁর বন্ধু।
মুহাম্মদের সান্নিধ্য তাঁকে নতুন করে সৃষ্টি করে।
অসুস্থতার জন্য তিনি কৃতজ্ঞতা অনুভব করেন,
তাঁর অসুস্থতাই তো এমন উজ্জ্বল আলো এনেছে,
এবং তাঁর পিঠের ব্যথার জন্যও,
যে ব্যথায় বিনিদ্র কাটত তাঁর রাত।
এই বিস্ময় যখন পৃথিবীতে হেঁটে বেড়াচ্ছে,
তখন মহিষের মতো নাক ডাকার প্রয়োজন নেই।
ব্যথারও কিছু গুরুত্ব থাকে, যে ব্যথা
কোনো অতিথির উপস্থিতি ছাড়া বোঝা যায় না।
শরৎ কাল নিয়ে কোনো অভিযোগ করো না।
ভালো বন্ধুর মতো দুঃখ নিয়ে হাঁটো,
সে কী বলে তা শোনো।
অনেক সময় একটি শীতল অন্ধকার গুহাই
আমাদের অধিকাংশের কাঙ্ক্ষিত পথ খুলে দেয়।
৩
চিৎকার করে কাঁদা ও নীরবে কাঁদা বিরাট সম্পদ
দুগ্ধদায়ী মা যা কিছু করেন তার সবই
তার সন্তানের শব্দ শোনার অপেক্ষায়।
অতি তুচ্ছ শব্দেও তিনি সেখানে উপস্থিত হন।
চিৎকার করে কাঁদো, তোমার যন্ত্রণা ও দু:খ
নিয়ে স্থির ও নীরব থেকো না।
তোমার মাঝে প্রেমে দুধ প্রবাহিত হতে দাও।
আমাদের ওপর দৃষ্টি রাখতে মেঘের উপায় হলো
প্রবল বর্ষণ ও তীব্র বাতাস।