উইমেনআই২৪ ডেস্ক: গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর অমোঘ বাণী স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, বাংলার মানুষকে আর দাবায়ে রাখতে পারবা না, স্বৈরাচারের পতন হবেই। নির্যাতন করে এই সরকার বেশিদিন টিকে থাকতে পারবে না। আজকে আমাদের দাবি একটাই, এই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করতে হবে।’
বুধবার সকাল সাড়ে ১১ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা দমনের হাতিয়ার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে এক নাগরিক সমাবেশ ও পদযাত্রা কর্মসূচিতে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জাফরুল্লাহ বলেন, ‘এটা সংস্কারের প্রয়োজন নাই, আমরা সংস্কার চাই না, আমরা এটা বাতিল চাই।’ এ সময় তিনি এ আইনের অধীনে গ্রেফতার সবাইকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ারও দাবি জানান।
সমাবেশ ও পদযাত্রা থেকে বক্তারা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন স্বাধীনতার চেতনার পরিপন্থী বলে মন্তব্য করে বিতর্কিত এ আইন ২৬ মার্চের মধ্যে বাতিলের আল্টিমেটাম দেন। এই সময়ের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অবরোধ করা হবে।
রাষ্ট্রীয় হেফাজতে মুশতাক আহমেদসহ সকল হত্যার বিচার, মিথ্যা মামলা, হয়রানি বন্ধ ও গ্রেফতার ব্যক্তিদের মুক্তি দাবি করা হয়।
সেখানে গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন এবং শিক্ষাবিদ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর বক্তব্য দেওয়ার কথা থাকলেও তারা উপস্থিত হতে পারেননি। তাদের দেওয়া একটি লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনানো হয়।
সমাবেশ শেষে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে পদযাত্রা শুরু হয়। মিছিলটি প্রথমে প্রেসক্লাব সংলগ্ন কদম ফোয়ারার সামনে পুলিশের দেয়া ব্যারিকেডে বাধা পড়ে। বাধা উপেক্ষা করে মিছিলটি মৎস্য ভবনের সামনে এলে আবারও ব্যারিকেডে পড়ে। সেখান থেকে শাহবাগ এলাকায় এলে সেখানেও ব্যারিকেডের মুখে পড়ে। তবে এসব ব্যারিকেড পেরিয়ে মিছিলটি সামনে এগিয়ে যায়। হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে এলে সেখানে শক্ত ব্যারিকেডে আটকা পড়ে মিছিলটি।