শওগাত আলী সাগর: ভালোবাসার সাথে ফুলের সম্পর্কটা নিবিড়, বিশেষ করে গোলাপের। যদিও বলা হয়,’roses as a symbol of undying love — they die. Quickly’- ভালোাবাসা দিবস বা ‘ভ্যালেন্টাইনস ডে’ তো আর ফুলবিহীন হতে পারে না! এবারই বোধ হয় প্রথম কানাডীয়ানদের ভিন্ন ভাবনা ভাবতে হচ্ছে।
কানাডার ফুল বিক্রেতারাই বলতে শুরু করেছে- ভালোবাসায় ক্রিয়েটিভ হও, ফুল নয় অন্য কিছু দিয়ে ভালোবাসার জানান দাও।
কানাডার অধিকাংশ শহরেই এখনো ‘স্টে হোম অর্ডার’ বলবৎ আছে। উইকএন্ডগুলোতে সরকারের নানা সংস্থার সার্ভিলেন্সটা একটু বাড়তিই থাকে। ফলে প্রিয়জনদের সাথে দেখা সাক্ষাত আর ফুল দেয়া নেয়ার ব্যাপারটা সরকারি বিধি নিষিধের বেড়াজালের অনিশ্চয়তায় আটকে থাকবে। ফুল নিরুৎসাহিত করার এটিই একমাত্র কারণ নয়।
কানাডায় এবার ফুলের সরবরাহটা খুবই কম, বিশেষ করে গোলাপের। কানাডায় ফুল আসে দক্ষিণ আমেরিকার বিভিন্ন শহর থেকে। ইকোয়াডোর ও কলম্বিয়া তার মদ্যে অন্যতম। করোনা ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ঠেকাতে দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোর সাথে কানাডার বিমান যোগাযোগ বন্ধ বা কমিয়ে দেয়ার ফলে ফুলের সরবরাহ বিঘ্নিত হয়েছে। নাগরিকদের চাহিদামতো ফুলের যোগান সম্ভব হচ্ছে না- এই তথ্য খোদ বিক্রেতারাই আগেভাগে জানিয়ে দিয়েছেন।
করোনা ভাইরাস কিংবা সরকারের স্বাস্থ্যবিধি লংঘনের কঠিন শাস্তির আতংক কী ভালোবাসাবাসি করা মানুষগুলোকে আটকে রাখবে! কানাডার নানা শহরে রাখবে হয়তো। কিন্তু ভালোবাসা প্রকাশের জন্য ফুলের বিকল্প কি হবে? ভালোবাসাবাসি করা মানুষগুলো সত্যিই কী এবার ভ্যালেন্টাইন্স এ ভালোবাসার ক্রিয়েটিভিটি দেখাতে পারবে! দেখা যাক না!
তার আগে আমরাই না হয় বলে রাখি- হ্যাপি ভ্যালেন্টাইন্স ডে।
লাভ ইউ।