মিলি সুলতানা: তিনি টেরোরিস্ট ছিলেন না। টেরোরিজমের সাথে তার দূর দূরান্তের সম্পর্ক ছিলো না। তবুও তাকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের কাছে হেয় প্রতিপন্ন হতে হয়েছে। প্রতিদিন হোয়াইট হাউজের বর্ণবাদী কর্মকর্তা কর্মচারীদের টিকা টিপ্পনী হজম করতে হত তাকে। কাজ করতে গিয়েও ট্রাম্প প্রশাসন থেকে সহযোগিতা পাননি। প্রতিদিন তাকে অপদস্থ হতে হয়েছে। এত অপমানের কারণ হল, তিনি হিজাব পরতেন। যার আত্মসম্মানবোধ প্রখর তার পক্ষে এত অপমান এত বৈষম্য মেনে নেয়া অসম্ভব। এতক্ষণ যার কথা বলছিলাম তিনি হলেন রুমানা আহমেদ।
২০১১ সালে রুমানা আহমেদকে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রশাসনে ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলে নিয়োগ দেয়া হয়। তিনি জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি থেকে গ্র্যাজুয়েশন করেছেন। সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রশাসনে হিজাব নিয়ে তাকে কোনো বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়নি। বরং সেখানে তিনি তার কর্মদক্ষতার জন্য প্রশংসিত হয়েছেন। ঠিক উল্টো ঘটেছে ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর। হোয়াইট হাউজে কর্মরত বর্ণবাদীরা রুমানার দিকে এমনভাবে তাকাতেন, যেন তিনি বিরাট অপরাধ করে ফেলেছেন। ট্রাম্প সাত মুসলিম দেশকে ইসলামিক টেরোরিস্ট আখ্যা দিয়ে আমেরিকায় ভ্রমণে নিষিদ্ধ করেন। রুমানা তখনই বুঝতে পারেন তিনিও বৈরী পরিস্থিতির শিকার হতে যাচ্ছেন। ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার মাত্র ৮ দিনের মাথায় রুমানাকে হোয়াইট হাউজ ছাড়তে হয়েছিলো। কেউ এই নিয়ে একটা কথাও বলেননি। অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের কর্মকর্তারা সেদিন নির্বিকার ভূমিকা পালন করেছিলেন।
সেই রুমানা আহমেদকে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন হোয়াইট হাউজে ফিরিয়ে এনেছেন। তিনি ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর গ্লোবাল মিডিয়ার (ইউএসএজিম) রিভিউ প্যানেলে কাজ করছেন। অভিনন্দন জানাই রুমানা আহমেদকে।