শান্তা মারিয়া: থু ইয়োইয়ো হলেন গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের প্রথম নারী যিনি নোবেল পুরস্কার জয় করেছেন। তিনি শরীরতত্ত্ব বা মেডিসিনে প্রথম নোবেলজয়ী চীনা নাগরিকও। ২০১৫ সালে তিনি চিকিৎসাবিদ্যায় উইলিয়াম ক্যাম্পবেল ও সাতোশি ওমুরার সঙ্গে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।
থু ইয়োইয়ো ১৯৩০ সালের ৩০ ডিসেম্বর চীনের চেচিয়াং প্রদেশের নিংবো শহরে জন্মগ্রহণ করেন। কিশোর বয়সে যক্ষ্মারোগে আক্রান্ত হওয়ায় তার লেখাপড়া বাধাগ্রস্ত হলেও তিনি সুস্থ হয়ে শিক্ষাজীবন চালিয়ে যান।
১৯৫১ থেকে ৫৫ সাল পর্যন্ত তিনি পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল স্কুল বা বেইজিং মেডিকেল কলেজে শিক্ষাগ্রহণ করেন। ১৯৫৫ সালে বেইজিং মেডিকেল ইউনিভারসিটি স্কুল অব ফার্মেসি থেকে গ্র্যাজুয়েশন করার পর চীনের ভেষজ চিকিৎসা নিয়ে গবেষণা শুরু করেন। চায়না একাডেমি অব ট্র্যাডিশনাল চায়নিজ মেডিকেল সায়েন্সের গবেষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন।
থু ইয়োইয়ো মূলত ম্যালেরিয়া রোগের চিকিৎসাপদ্ধতি ও ওষুধ আবিষ্কারের গবেষণায় আত্মনিয়োগ করেন। তিনি ম্যালেরিয়া চিকিৎসায় যুগান্তকারী আবিষ্কার করেছেন।তার আবিষ্কারের ফলে দক্ষিণ চীন, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া আফ্রিকা এবং দক্ষিণ আমেরিকায় লাখ লাখ মানুষের জীবন রক্ষা পেয়েছে।
তিনি ২০১১ সালে চিকিৎসাবিদ্যায় সম্মানজনক লাসকার অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন। ২০১৯ সালে তিনি চীনের অর্ডার অব রিপাবলিক সম্মাননা লাভ করেন। চীনের অনেক শ্রেষ্ঠ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার ও সম্মান তিনি পেয়েছেন। থু ইয়োইয়ো হলেন বিজ্ঞান গবেষণায় নিবেদিতপ্রাণ ব্যক্তিত্ব যিনি বিশ্বজুড়ে নারীদের বিজ্ঞান গবেষণার অনুপ্রেরণাস্বরূপ।