ছবি: নিহত মুকুল
নোয়াখালী সদর উপজেলায় মাদক ব্যবসায়ের প্রতিবাদ করায় এক যুবককে পিটিয়ে আহত করার পর হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে তার মৃত্যু হয়েছে।
১৭ নভেম্বর (শুক্রবার) সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন লাইফ সাপোর্ট অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এরআগে, ১ অক্টোবর সকালে উপজেলার সাহেবের হাট পশ্চিম বাজারে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন নিহত মুকুল। নিহত হুমায়ুন কবির মুকুল উপজেলার নোয়াখালী ইউনিয়নের আবদুল্যাহপুর গ্রামের মো.আবদুল কাদের ডাক্তারের ছেলে।
নিহতের ভাই আবদুল মাবুদ পলাশ বলেন, ‘তার ভাই মুকুল সেনবাগ উপজেলায় একটি বাড়ি-একটি খামার প্রকল্পে কর্মরত ছিলেন। সে এলাকায় বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুবাদে বিভিন্ন সময় মাদক ও অসামাজিক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে কথা বলতেন। মাদক ব্যবসায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে প্রতিবাদ করায় কয়েক মাস আগে মাদক ব্যবসায়ী কালামের সঙ্গে বাকবিতন্ডা হয় মুকুলের। গত সেপ্টেম্বর মাসে মুকুলের একটি কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। ওই কন্যা সন্তানকে দেখতে বাড়ি আসেন।
পলাশ অভিযোগ করে আরো বলেন, ‘গত ১ অক্টোবর সকালে বাবার সঙ্গে নবজাতক শিশুর জন্য কেনাকাটা করতে সাহেবের হাট বাজারে যায় মুকুল। এসময় পূর্ব পরুকল্পিতভাবে মাদক ব্যবসায়ী কালাম, ওমর, সাহাব উদ্দিন, সবুজ, রায়হানসহ তাদের সঙ্গীয় সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে মুকুলের ওপর হামলা করে। এতে মাথায় আঘাত পেয়ে গুরুত্বর আহত হয় মুকুল। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে, পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় ১ মাস ১৬ দিন পর শুক্রবার সকালে মারা যায় মুকুল।’
মুকুলের বাবা মো. আবদুল কাদের ডাক্তার বলেন, ‘ঘটনার পর মাদক ব্যবসায়ী কালাম ও তার সঙ্গীয়দের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা করি। ওই মামলায় আসামিরা কোর্ট থেকে জামিনে এসে আমার বাড়িতে এসে মামলা তুলে নিতে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যায়। এতে আমরা আরো আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। পরে সুধারাম থানায় একটি জিডিও করি। কিন্তু আসামিরা গ্রেফতার হয়নি।’
সুধারাম মডেল থানার ওসির দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান পাঠান বলেন, ‘ঘটনার পর পরই এ ঘটনায় একটি মামলা নেয়া হয়েছে। ওই মামলাটিতে এখন ৩০২ ধারা যোগ হবে। মামলাটি এখন জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তদন্ত করছে।’
ইউ