
ফাইল ছবি
সদর উপজেলার দেবীপুরে এক গৃহবধু (১৯) কে ধর্ষনের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়। বুধবার ওই গৃহবধু বাদী হয়ে ওই ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. আবুল বাসার সুমন (৩৪) সহ দুইজনকে আসামি করে সদর থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন। পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে ইউপি সদস্য সুমনকে গ্রেফতার করে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, গত এক বছর পূর্বে ওই গৃহবধুর বীরগঞ্জ উপজেলায় বিয়ে হয়। বিয়ের পূর্ব থেকেই ইউপি সদস্য সুমন ওই গৃহবধুকে বিভিন্ন সময়ে কু-প্রস্তাব দিয়ে উত্যক্ত করে আসছিল। বিষয়টি ওই নারী তার পরিবারের লোকজনকে জানালে তারা সুমনকে সাবধান করে দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে সুমন। ওই গৃহবধূ পড়ালেখা করার তাগিদে বাপের বাড়িতে থেকে বোদা মহিলা কলেজে লেখাপড়া শুরু করেন। এ অবস্থায় সুমন গৃহবধুর স্বামীকে তালাক দিয়ে তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একধিকবার বিভিন্ন স্থানে নিয়ে ধর্ষন করে। এ অবস্থায় গত ৩ অক্টোবর সুমন ও তার সহযোগী হেলাল উদ্দীন (৪২) সহ তাকে বাড়ির পার্শ্ববর্তী ডলফিন ক্লাব মাঠে ডাকেন। সেখানে গেলে তাকে মোটরসাইকেলযোগে সুমন ও হেলাল উদ্দীন জোরপূর্বক গাড়িতে চড়ান। পরে সুমনের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে হেলাল উদ্দীনের সহায়তায় আবারও ধর্ষণ করা হয় ওই গৃহবধুকে। ওই গৃহবধুকে সুমন হত্যার হুমকি
দিয়ে ধর্ষনের বিষয়ে কাউকে না জানাতে ভয়-ভীতি দেখান। বিষয়টি গৃহবধু বাড়ির লোকজনকে জানালে সুমন কৌশলে আপোষ-মিমাংসার কথা বলে কালক্ষেপন করতে থাকেন। অবশেষে কোন সুরাহা না হলে ওই গৃহবধু সদর থানায় ধর্ষন মামলাটি দায়ের
করেন। মামলার আসামীরা হলেন, সদর উপজেলার মাজবর্ণী গ্রামের মো. ইসমাইল হোসেনের ছেলে মো: আবুল বাসার সুমন (৩৪) ও উত্তর মুজাবর্ণী গ্রামের মো. আব্দুল জব্বারের ছেলে মো. হেলাল উদ্দীন (৪২)।
ইউ