ঢাকা, বাংলাদেশ

শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪

English

বৃত্তের বাইরে

ইতিহাস গড়েই দেশে ফিরলেন ওয়াসফিয়া নাজরীন

উইমেনআই২৪ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৯:১৪, ১৭ আগস্ট ২০২২; আপডেট: ১৯:৫৫, ১৭ আগস্ট ২০২২

ইতিহাস গড়েই দেশে ফিরলেন ওয়াসফিয়া নাজরীন

ইতিহাস গড়েই দেশে ফিরলেন ওয়াসফিয়া নাজরীন

বিশ্বের সাতটি অঞ্চলের সর্বোচ্চ সাতটি শৃঙ্গ জয়ী একমাত্র বাংলাদেশি পর্বতারোহী ওয়াসফিয়া নাজরীন ইতিহাস গড়ে দেশে ফিরেছেন। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ এবং বিপদসংকুল পর্বতশৃঙ্গ ‌‌কে-টু জয় করার পর দেশে ফিরেছেন তিনি।

বুধবার (১৭ আগস্ট) বিকালে নেপালের কাঠমান্ডু থেকে একটি ফ্লাইটে দেশে ফেরেন ৩৯ বছর বয়সী এই পর্বতারোহী।

রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে দুই মাসব্যাপী কারাকোরাম অভিযানের যাত্রা নিয়ে কথা বলেন ওয়াসফিয়া। তিনি জানান, প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে পর্বতারোহণ এবং ট্রেকিং করারও অনুমতি পেয়েছেন ওয়াসফিয়া নাজরীন।

সংবাদ সম্মেলনে ওয়াসফিয়া বলেন, ‘বাংলাদেশ যখন ৪০-এ পা দেয়, তখন আমি সেভেন সামিট জয় করার যাত্রা শুরু করি। দেশের ৫০ বছরে আমি চেয়েছিলাম কে-টু জয় করতে। এ জন্য আমি ১০ বছর ধরে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে নিজেকে কে-টু যাত্রার জন্য তৈরি করেছি। ডেথ-জোন (অক্সিজেনের ভয়াবহ স্বল্পতার কারণে যেসব পর্বত আরোহণ অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ) পর্বতসমূহ আরোহণ করতে অনেক মানুষের প্রয়োজন হয়। আর এ সাফল্যের জন্য আমি আমার দলের প্রতি কৃতজ্ঞ। এবং আমার এ দলে যারা ছিলেন, তাদের বেশ কয়েকজনকে এ মূহূর্তে বিশ্বের সেরা পর্বতারোহী হিসেবে মনে করা হয়। যারা আমার মঙ্গল কামনা করেছে এবং আমার ওপর ভরসা করেছে, সবাইকে ধন্যবাদ।

ওয়াসফিয়া বলেন, ‘‘কে-টু আমার আরোহণ করা সবচেয়ে দুর্গম পর্বত, যেখানে বেশ কয়েকবার আমি পাথরে আঘাত পেয়েছি আবার কিছু ক্ষেত্রে ভাগ্যও আমাদের সহায়তা করেছে। কে-টু স্থানীয়ভাবে ‘ছোগোরি’ বা পর্বতের রাজা হিসেবে পরিচিত, প্রতি পদক্ষেপে সেখানে মৃত্যুঝুঁকি রয়েছে! একবারেই কে-টু জয় করে ফেরত আসতে পেরেছেন এমন অল্পকিছু পর্বতারোহীর মধ্যে আমরা রয়েছি। এমনও অনেক পৃথিবী-বিখ্যাত পর্বতারোহী রয়েছেন যারা বছরের পর বছর ধরে চেষ্টা করেও এ পর্বতশৃঙ্গ জয় করতে পারেননি। আমি এই অভিযানের স্পন্সর রেনাটা লিমিটেডকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাতে চাই। তারা আমার এই মিশনের ওপর ভরসা রেখেছেন এবং আমাকে সর্বাত্মকভাবে সহায়তা করেছেন।’’

তিনি বলেন, ‘কারাকোরাম রেঞ্জে অবস্থিত কে-টু পর্বত ৮ হাজার ৬১১ মিটার উঁচু এবং পর্বতারোহীদের আরোহণের জন্য এভারেস্টের চেয়েও দুর্গম বলে সবার কাছে পরিচিত। বিপদসংকুল পরিবেশ, প্রায় পিরামিড-সদৃশ ঢাল এবং অনিশ্চিত আবহাওয়ার এই ‘স্যাভেজ মাউন্টেন’ -এর চূড়ায় পা রাখতে পেরেছেন মাত্র ৪০০ পর্বতারোহী, যাদের অনেকেই আর নিচে নামার সুযোগ পাননি।’

ওয়াসফিয়া নাজরীন গত ২২ জুলাই তার দলের সঙ্গে কে-টু পর্বতশৃঙ্গে আরোহণ করেন। তিনি প্রথম বাঙালি এবং একইসাথে প্রথম বাংলাদেশি, যিনি সাত মহাদেশের সাতটি সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ জয় করলেন। তার এই অভিযানের অনেকগুলোতেই স্পন্সর হিসেবে পাশে ছিলো রেনাটা। তিনি পৃথিবীর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ, পাকিস্তানের উচ্চতম এবং সবচেয়ে দুর্গম ও বিপদসংকুল পর্বতশৃঙ্গ কে-টু বিজয়ী প্রথম বাঙালি এবং বাংলাদেশি।

১৯৫৪ সালের পর পৃথিবীর সবচেয়ে দুর্গম ও ভয়ঙ্কর পর্বতশৃঙ্গ হিসেবে পরিচিত কে-টু-তে আরোহণ করা ৪০ নারী পর্বতারোহীর একজন তিনি। ওয়াসফিয়া নাজরীনের এ অভিযানে স্পন্সর ছিল রেনাটা লিমিটেড।

তিনি বলেন, এ সাফল্যে আমার দলের প্রতি কৃতজ্ঞা। দলে যারা ছিলেন তাদের বেশ কয়েকজনকে এ মুহূর্তে বিশ্বের সেরা পর্বতারোহী হিসেবে মনে করা হয়। যারা আমার মঙ্গল কামনা করেছে এবং আমার ওপর ভরসা করেছে, সবাইকে ধন্যবাদ।

জিম্মি জাহাজের নাবিকদের জন্য ছাগল-দুম্বা আনছে জলদস্যুরা

নারী শ্রমিকদের প্রতি সহনশীলতার আহবান যুক্তরাষ্ট্রের

বাড়তি ভাড়া চেয়ে হয়রানি করলেই কঠোর ব্যবস্থা: আইজিপি

২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইন্টারনেট ও ডিসের তার অপসারণের নির্দেশ

ভারতের ভূতুড়ে ৫ শহর

বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দল ঘোষণা

কানাডার কুইন্স পার্কে বাংলাদেশের লাল সবুজের পতাকা উত্তোলন

ইফতার পার্টি করে মিথ্যাচার চালাচ্ছে বিএনপি : কাদের

বুবলীর পর মাহির ছেলের জন্মদিনে সরব পরীমণি 

বন্ধ্যাত্বের অন্যতম কারণ এন্ডোমেট্রিয়োসিস, সতর্ক হোন

এভারকেয়ারে চাকরি, লাগবে না অভিজ্ঞতা 

ভিকারুননিসায় আরও ৩৬ ছাত্রীর তথ্য ফাঁস!

টাঙ্গাইলে শাড়ি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তাঁতীরা

নারী শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার হার ৩৪.৮৭ শতাংশ

বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর পৌনে ৪ কিলোমিটার দৃশ্যমান