ছবি: মহিলা পরিষদের লোগো...
ভোলা সদরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর ভেদুরিয়া গ্রামে দৃর্বৃত্তদের দেয়া আগুনে বসতঘরে ১২ বছরের প্রতিবন্ধী কিশোরী হত্যা এবং লক্ষীপুর জেলার কমলনগর উপজেলার চরমার্টিন ইউনিয়নের মুজাফফর বেপারীর এলাকায় ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে গৃহবধূর হাত-পা বেঁধে গায়ে আগুন ধরিয়ে হত্যার চেষ্টার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে মহিলা পরিষদ। একইসঙ্গে ওই দুই ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারসহ ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতকরণের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
সোমবার (৩০ অক্টোবর) নারীবাদি সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু স্বাক্ষরিত বিৃবতিতে এ দাবি জানানো হয়।
বিবৃতিতে রবিবারের (২৯ অক্টোবর) বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত খবরের বরাতে বলা হয়, ২৭ অক্টোবর (শুক্রবার) রাতে দুই নাতি ঘরে আগুন লেগেছে বলে চিৎকার দেয়। আগুনের তীব্রতা ভয়াবহ হওয়ায় ঘরের সবাই বের হয়ে আসতে পারলেও প্রতিবন্ধী কিশোরী বের হয়ে আসতে পারেনি। ততক্ষণে বাড়ির সব আসবাবপত্র ও মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এর সাথে ১২ বছর বয়সী প্রতিবন্ধী ওই কিশোরীও আগুনে পুড়ে যায়। আগুন নিভে যাওয়ার পর নিহত কিশোরীর লাশ চকির নিচ থেকে উদ্ধার করা হয়।
লক্ষীপুর জেলার কমলনগর উপজেলার চরমার্টিন ইউনিয়নের মুজাফফর বেপারীর এলাকায় গৃহবধূর হাত-পা বেঁধে গায়ে আগুন ধরিয়ে হত্যার চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। নির্যাতনের শিকার গৃহবধূর স্বামী বিয়ের এক বছর পর প্রবাসে চলে যায়। এর মধ্যে প্রতিবেশী রিয়াজ কৌশলে ওই গৃহবধূর মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে ভিডিও কল দিয়ে অবৈধ সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা চালায়। গৃহবধূ বিষয়টি তার শ্বশুড় শ্বাশুড়িকে জানালে তারা রিয়াজকে সতর্ক করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রিয়াজ গত ২৬ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার রাতে কৌশলে গৃহবধূর গৃহে প্রবেশ করে তার হাত-পা, মুখ গামছা দিয়ে বেঁধে প্রথমে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। পরে মশার কয়েল দিয়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ছ্যাঁকা দেয়। এক পর্যায়ে গৃহবধূর গলায় ওড়না পেঁচিয়ে তাতে আগুন ধরিয়ে দিয়ে রিয়াজ ও তার সহযোগীরা পালিয়ে যায়। গৃহবধূর চিৎকারে আশেপাশের লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
নির্যাতনের শিকার গৃহবধূকে বর্বর নির্যাতন এবং প্রতিবন্ধী কিশোরীর নির্মম হত্যার ঘটনায় সংগঠনটিনর গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বিবৃতিতে বলা হয়, এলাকায় বিভিন্ন শত্রুতার জেরে নারী-কন্যাশিশু ও তাদের পরিবারের সদস্যরা নৃশংস ও নির্মম নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। এ ধরনের সহিংসতার ঘটনা ঘটেই চলেছে। এতে নারী ও কন্যার স্বাভাবিক জীবন ব্যহত হচ্ছে ও তাদের অগ্রযাত্রার পথে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হচ্ছে।
সংগঠনটি ওই দুই ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারসহ ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতকরণের দাবি জানিয়েছে। পাশিাপাশি এ ধরনের ঘটনা পুনরাবৃত্তিরোধে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নিকট জোর দাবিও জানানো হয়েছে। বিবৃতিতে নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে ব্যক্তি, পরিবার ও সমাজকে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলার আহ্বান জানানো হয়।
ইউ