
ছবি: বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের লোগো...
কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার আলিকামোড়া গ্রাম্য সালিশে মিথ্যা অপবাদ ও কুৎসা রটিয়ে কলেজছাত্রীর আত্মহত্যার প্ররোচনার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। একইসঙ্গে ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনাসহ গ্রেফতার, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিও জানিয়েছে সংগঠনটি।
রবিবার (৮ অক্টোবর) গণমাধ্যমে পাঠানো নারীবাদি সংগঠনটির সাধারণ মালেকা বানু স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।
বিবৃতিতে ৮ অক্টোবরের যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত খবরের বরাতে বলা হয়, নিহত কলেজছাত্রীর সঙ্গে একই গ্রামের গাজী বিল্লাল হোসেনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কলেজছাত্রীর পরিবার দরিদ্র কৃষক এবং বিল্লাল অবস্থাসম্পন্ন হওয়ায় তাদের এই সম্পর্ক মেনে না নিয়ে বিল্লালের পরিবার ওই কলেজছাত্রীর বিরুদ্ধে এলাকায় কুৎসা রটায়। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় গুঞ্জন শুরু হলে গত ৫ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) গ্রামের আনোয়ারা খন্দকারের বাড়িতে একটি সালিশের আয়োজন করা হয়। সালিশে মাতবররা ছেলের পরিবারের পক্ষ নিয়ে ওই কলেজছাত্রীকে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করে ও তার বিরুদ্ধে কুৎসা রটায়। এসব সহ্য করতে না পেরে সালিশ চলাকালীন ওই কলেজছাত্রী বাড়িতে গিয়ে গলায় ওড়না প্যাঁচিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করে।
বিবৃতিতে বলা হয়, বেআইনি সালিশের মাধ্যমে নারী ও কন্যাদের প্রতি নির্যাতনের ঘটনাসহ নানা হয়রানিমূলক আচরণ এবং মিথ্যা অপবাদের ঘটনা ঘটেই চলেছে। এ ধরণের ঘটনা তাদের স্বাভাবিক জীবন-যাপন ব্যাহত করছে, তাদের পড়ালেখা ও অগ্রযাত্রার পথে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে। এই ধরনের বেআইনি সালিশের মাধ্যমে নারী ও কন্যাদের প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংগঠনটি জোর দাবি জানিয়েছে।
বেআইনী সালিশে ফতোয়া, বিচার বহির্ভূত শাস্তি বন্ধে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের রায়ের যথাযথ বাস্তবায়নের অনুরোধ জানানো হয়েছে বিবৃতিতে। পাশাপাশি এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হয়েছে।
ইউ