
সৌদি নারী মরিয়মের মাইলফলক
আপনার চ্যালেঞ্জগুলো সীমাবদ্ধ করবেন না, বরং সীমাবদ্ধতাকে চ্যালেঞ্জ করুন’ কথাগুলো মরিয়ম বিন লাদেনের। পেশায় দন্তচিকিৎসক এই সৌদি মানবতাবাদী সিরিয়ার উদ্বাস্তুদের সমর্থনে নিবেদিতপ্রাণ। জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়েও তিনি সোচ্চার। মরিয়ম শুধু চিকিৎসকই নন, একই সঙ্গে একজন একনিষ্ঠ সাঁতারু। তিনি মানবতাবাদী চিন্তা থেকেই বড় আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন। বিভিন্ন ইভেন্ট পরিচালনা করেছেন।
সম্প্রতি এমনই একটি লক্ষ্যকে সামনে রেখে পাড়ি দিয়েছেন লোহিত সাগর। সাঁতার কেটে সৌদি আরব থেকে মিসরে পৌঁছেছেন প্রথম আরব নারী মরিয়ম বিন লাদেন। জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ প্রবাল প্রাচীর সংরক্ষণের বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে তিনি এ উদ্যোগ নেন বলে জানিয়েছেন। এবার জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলন (কপ-২৭) অনুষ্ঠিত হচ্ছে মিসরে। ওই সম্মেলনে যোগ দিতেই সাগর পাড়ি দেন এই সৌদি নারী। সাঁতার শেষ করার পর নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে দীর্ঘ যাত্রার বেশ কয়েকটি ছবি ও ভিডিও পোস্ট করেছেন মরিয়ম। তাঁর সঙ্গে ছিলেন জাতিসংঘের সমুদ্রবিষয়ক পৃষ্ঠপোষক ও সাঁতারু লুইস পুগ।
প্রসঙ্গত, বৈশ্বিক উষ্ণতা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ থাকলেও প্রবাল প্রাচীরগুলোর কমপক্ষে ৭০ শতাংশ কমে যাবে। আর উষ্ণতা যদি ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পায় তাহলে ২০৭০ সালের মধ্যে বিশ্বের প্রায় সব প্রবাল প্রাচীর হারিয়ে যেতে পারে। হুমকিতে থাকা ২০টিরও বেশি প্রবাল প্রজাতিকে ইতোমধ্যে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের বিপন্ন প্রজাতি আইনের অধীনে দুটি প্রজাতিকে বিপন্ন হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
//এল//