ঢাকা, বাংলাদেশ

শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪

English

বৃত্তের বাইরে

একপলকের প্রেম, ডিভাইন কমেডির রহস্যময়ী বাস্তবে কে?

প্রকাশিত: ০০:০০, ৩ জানুয়ারি ২০২২; আপডেট: ১৬:৩৩, ৬ জুলাই ২০২২

একপলকের প্রেম, ডিভাইন কমেডির রহস্যময়ী বাস্তবে কে?

উইমেনআই২৪ ডেস্ক: 
একপলকের একটু দেখা, আর তাকে ঘিরেই কিংবদন্তি। আনমনা হয়ে পথ ঘুরে বেড়াচ্ছেন সাত থেকে আট বছরের এক কিশোরী। খেয়ালই করেনি, পথের একপাশে দাঁড়িয়ে তার দিকে অপলক তাকিয়ে আছে বয়সে সামান্য বড় এক কিশোর। দুই এক মুহূর্তের এই দেখা। অথচ তা থেকেই এই পৃথিবীর বুকে জন্ম নিয়েছিল এক আশ্চর্য দাস্তান অনন্য এক রূপকথা। 
হ্যাঁ, প্রথম দর্শনেই এক প্রতিভাবান বালক ভালোবেসেছিল একটি স্নিগ্ধ বালিকাকে। ভবিষ্যতের মহাকবি দান্তে দেখেছিলেন ডিভাইন কমেডির আগামীকালের এক কিংবদন্তি-চরিত্র বিয়াত্রিচেকে। তারপর আর কয়েকবার মাত্র দেখা হয়েছিল তাদের। কথা হয় নি কোনো। কথা হবার প্রয়োজনও ছিল না। যার সঙ্গে মনের লুকোনো মণিকোঠায় কথা হয় প্রতিদিন, তাকে প্রকাশ্যে আর কী-ই বা বলার ছিল কিশোর-কবি দান্তের ?


ক্রমে দিন যায়, রাত আসে। মিসা, কঙ্কা, রেনো, সান মারিনো আর রুবিকনের বুকে বয়ে যায় অজস্র জলধারা। বিয়াত্রিচের বিয়ে হয়ে গেল অন্য এক পুরুষের সঙ্গে। তরুণ কবি দান্তেও বিয়ে করলেন তার বাগদত্তা জেম্মাকে। কবিদের বিবাহিত জীবন আর মনোজীবন অনেক সময় দুটি সমান্তরাল ধারায় বয়ে যায় জগতের অগোচরে। 'তুমি তো জানো না কিছু, না জানিলে, আমার সকল গান তবুও তোমারে লক্ষ করে'।

বিয়াত্রিচে কখনো জানতেই পারে নি, তাকে নিয়ে লেখা অসংখ্য কবিতায় ভরে উঠছে এক মুগ্ধ যুবকের কবিতার খাতা। এই প্রসঙ্গে অনেকেরই মনে পড়ে যেতে পারে বিনয় মজুমদার আর গায়ত্রীর কথা। পার্থক্য একটাই, দান্তে বিয়ে করেছিলেন, বাচ্চা-কাচ্চাও হয়েছিল, আর বিনয় বিয়ে করেন নি। খামোখা পাগল হয়ে গিয়েছিলেন। না, প্রভেদ আরো আছে। গায়ত্রীর মতো দীর্ঘজীবী মেধাবিনী নয়, বিয়াত্রিচের আয়ু ছিল বড়ই কম। মাত্র ২৪ বছর বয়সে মারা যায় সে।

বিয়াত্রিচের মৃত্যুর পর প্রকাশিত হয় দান্তের কাব্যগ্রন্থ লা ভিট। নোভা ( নতুন জীবন )। ছোটো-বড় সব কবিতার মধ্যে থেকে বেছে নেয়া একটি সংকলন, যার অধিকাংশই বিয়াত্রিচে-কেন্দ্রিক। দান্তের ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনে প্রবল ঝড় বয়ে যায় এর পরের কয়েক বছরে। তছ-নছ হয়ে যায় তার জীবন। বেড়ে ওঠে শত্রু-সংখ্যা। নির্বাসিতও থাকেন কিছুকাল। তারই মধ্যে প্রস্তুতি চলে সেই বহু-কাঙ্ক্ষিত মহাকাব্য লেখার। ১৩০৮- এ শুরু করা ডিভাইনা কোম্মেদিয়া (ডিভাইন কমেডি) শেষ হয় কবির মৃত্যুর এক বছর আগে ১৩২০ সালে। দীর্ঘ ১২ বছর সময় লেগেছিল এই ১৪২৩৩ পংক্তির স্বর্গীয় মহামিলনের অমর মহাকাব্য রচনা করতে।

এক গভীর অরণ্যের পথে দান্তের সঙ্গে দেখা হয় সুপ্রাচীন খ্রিস্টপূর্বাব্দের মহাকবি ভার্জিলের। স্বর্গ থেকে অপেক্ষমান বিয়াত্রিচে ঐ সময় ভার্জিলকে সেখানে পাঠিয়েছেন, তিনি যেন দান্তেকে মৃত্যু-পরবর্তী ভুবনে পথ দেখিয়ে স্বর্গে নিয়ে আসেন। ঐ মহাযাত্রার বিচিত্র অভিজ্ঞতার কথাই দান্তে এই মহাকাব্যে বর্ণনা করেছেন। এর মধ্যে ইনফারনো, পার্গেটরিয়ো এবং প্যারাডাইসের ( নরক , প্রেতভূমি এবং স্বর্গ ) বিস্তারিত বর্ণনা রয়েছে। যেসব আত্মা শেষ পর্যন্ত ত্রাণ লাভ করে স্বর্গে যাবে, পার্গেটরি বা প্রেতভূমিতে কঠোর প্রায়শ্চিত্তের মধ্যে দিয়ে সমস্ত পাপ ধুয়ে-মুছে তাদের পবিত্র ও পরিশুদ্ধ করে তোলা হয়।

এই মহাকাব্যে বিয়াত্রিচের প্রসঙ্গ থাকলেও এর বিষয়বস্তু শুধু প্রেম নয়। এখানে জগৎ ও জীবন সম্পর্কে দান্তের গভীর দার্শনিক চিন্তার অসামান্য সুন্দর প্রকাশ ঘটেছে। ভার্জিল দান্তেকে প্রথমে নরক, তারপর পার্গেটরি এবং সব শেষে স্বর্গের দুয়ারে পৌঁছে দেন। সেখানে বিয়াত্রিচে এসে তার হাত ধরে। এই মহাকাব্যটি লেখা হয় আগাগোড়া স্থানীয় ভেনেশিয়ান কথ্যভাষায়। অর্থাৎ তখনকার সাধারণ মানুষ যে ভাষায় কথা বলত সেই ভাষায়। আমাদের মাইকেলের মতো ইরম্মদীয় ভাষায় নয়৷

ডিভাইন কমেডি পড়ে আমাদের মনে হয়, এ যেন আমাদের মানব-জীবনেরই এক দীর্ঘ অভিযাত্রা। পাপ-তাপ-দহন নিপীড়ন ও লেলিহান আগুনের মধ্যে দিয়ে মানুষ যেমন ক্রমাগত এক শুদ্ধতার দিকে এগিয়ে চলে, এও ঠিক তেমনই, মৃত্যু থেকে অমৃতের দিকে যাত্রা। তমসা থেকে আলোর দিকে এক নিরন্তর পথচলা। আনুমানিক ১২৬৫ থেকে ১৩২১ খ্রিষ্টাব্দের মাঝামাঝি কোনো এক সময়ে ইতালির ফ্লোরেন্সে জন্মগ্রহণ করেছিলেন দান্তে। আশ্চর্য জীবন তার। তিনি ছিলেন একাধারে মহাকবি, রাজনীতিবিদ, দার্শনিক আবার যোদ্ধাও। পুরো নাম দুরন্তে দেগলি আলিঘেরি। আর বিয়াত্রিচের কুমারী জীবনের পুরো নাম ছিল বিট্রিস পোর্টিনারি। ডিভাইন কমেডি পড়তে পড়তে ভাবি, এই বাংলাদেশের পথে ঘাটে কখনো কোনো বিয়াত্রিচে কি হেঁটে যায় নি? স্কুলের পথে, অথবা অন্য কোনো তুচ্ছ প্রয়োজনে? হয়তো গেছে, কিন্তু সেই যাওয়া চোখে পড়েনি কোনো বাঙালি মহাকবির।

যে তিনটি বাংলা মহাকাব্য নিয়ে আমাদের গর্বের শেষ নেই, সেখানে সব আছে, শুধু বিয়াত্রিচে নেই। বিয়াত্রিচের মতো কেউ নেই। নরকের আগুন ও বিষ থেকে আমাদের মতো মর্তবাসী মানুষদের হাত ধরে অমরাবতীতে পৌঁছে দেবার জন্য কেউ আর পাঠাবে না ব্যাস বাল্মীকি অথবা কালিদাসকে। যেন এই চকচকে নরকই আমাদের নিয়তি। শিল্পীর কল্পনায় বিয়াত্রিচের মতো কেউ শেকসপিয়রের হ্যামলেট বলেছিল, 'স্বর্গ এবং পৃথিবীতে আরও অনেক কিছু আছে, হোরাটিও, আপনার দর্শনে স্বপ্নের চেয়ে'।

বিখ্যাত মনীষীদের ব্যক্তিজীবনকে ঘিরে গড়ে ওঠে এরকম নানা অলৌকিক কিংবদন্তি। কবি জয়দেবের গীতগোবিন্দের একটি শ্লোক নাকি স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণ অথবা অন্য কোনো রহস্যময় শক্তি এসে লিখে দিয়েছিলেন। কাব্যের ঐ অংশটি শেষ না করে তিনি নদীতে স্নান করতে গিয়েছিলেন। ফিরে এসে দেখেন তার পাণ্ডুলিপিতে অন্য কারও হস্তাক্ষরে লেখা আছে, ‘স্মরগরল খণ্ডনং মম শিরসি মণ্ডনং / দেহি পদপল্লবমুদারম। ' এই অসামান্য শ্লোকটি নিয়ে ভক্তবাঙালি সমজে লোকশ্রুতির অভাব নেই। তবে কিংবদন্তি কিংবদন্তিই হয়। তাকে যুক্তি দিয়ে ব্যাখা করতে যাওয়া মূর্খামি।

দান্তের ডিভাইন কমেডি নিয়েও এমনই একটি কিংবদন্তি প্রচলিত আছে, যাকে যুক্তির মানদণ্ডে বিচার করা চলে না। দান্তে মারা যান ১৩২১ সালে। লোকশ্রুতি আছে, তার মৃত্যুর পর জানা গেল ডিভাইন কমেডির পাণ্ডুলিপির শেষ অংশটি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। কে বা কারা সেই অংশটুকু সরিয়ে নিয়েছে মূল পাণ্ডুলিপি থেকে! দান্তের দুই পুত্র জ্যাকোপো ও পিয়েত্রে দীর্ঘদিন ধরে সরোজমিনে অনুসন্ধান করেও খুঁজে পাননি সেই হারিয়ে যাওয়া পাণ্ডুলিপি। বাবার লেখালেখির সব কাগজপত্র তন্ন তন্ন করে পিয়েত্রে আর জ্যাকোপো একসময় হাল ছেড়ে দেন। হাজার অনুসন্ধান করেও পাণ্ডুলিপির হারানো অংশটুকু খুঁজে পেলেন না তারা।

তারপর অতিবাহিত হয়ে যায় বেশ কিছুদিন। একদিন হঠাৎ এক অলৌকিক রাত্রিতে পিয়েত্রে স্বপ্নের মধ্যে দেখতে পান তার পিতা দান্তেকে। দুধের মতো ধবধবে সাদা পোশাক পরা দান্তে যেন নরম আলোর মধ্যে ডুব দিয়ে এসে উঠে দাঁড়ালেন ছেলে পিয়েত্রের মাথার কাছে। বিস্মিত পিয়েত্রে তার বাবাকে জিজ্ঞেস করলেন ডিভাইন কমেডির শেষ অংশটুকুর রহস্যময় অন্তর্ধানের কথা। বললেন- ‘বাবা ! আপনি কি এই অসামান্য মহাকাব্যটি অসম্পূর্ণ রেখেই মৃত্যু বরণ করেছিলেন, অথবা অন্য কেউ এই কাব্যের শেষ অংশটুকু চুরি করে নিয়ে গেছে? ’

স্বপ্নের মধ্যেই মহাকবি দান্তে তার প্রিয় পুত্রকে জানালেন, তিনি ভেবেছিলেন তার মৃত্যুর পর এই অতি শ্রম ও যত্নে লেখা মহাকাব্যটি চুরি হয়ে যেতে পারে, তাই তিনি পাণ্ডুলিপির শেষ অংশটুকু সন্তর্পণে গোপন করে রেখেছেন পাশের ঘরের ঘুলঘুলির ভেতরে। পরেরদিন সকালবেলা বিছানা থেকে উঠে পিয়েত্রে রাত্রির সেই অলৌকিক স্বপ্নের কথা জানালেন সবাইকে। তবে শ্রোতারা কেউ বিশ্বাস করল না তার কথা। কেউ একটিবারের জন্যেও প্রয়োজন মনে করল না পাণ্ডুলিপিটি আবার খুঁজে দেখার।

অতঃপর পিয়েত্রে তার এক উকিল বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে অনুসন্ধান করে দেখলেন পিতার উল্লিখিত সেই ঘুলঘুলি বা ভেন্টিলেটর। খোলার পর তাদের বিস্ময়ের সীমা রইল না। তারা অবাক হয়ে দেখতে পান, একটি পুরু কাপড়ে ভাজ করে জড়ানো রয়েছে অনেকগুলো অবিন্যস্ত কাগজপত্র। পড়ে করে বোঝা গেল, সেগুলো দান্তের লেখা ডিভাইন কমেডির পাণ্ডুলিপির শেষ অংশ ছাড়া আর কিছু নয়। কেমন ছিল মহাকবি দান্তের জীবন?

৩০ বছর বয়সে রাজনীতিতে নেমে পোপের বিষ নজরে পড়েন দান্তে। তার ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়। তার ফ্লোরেন্সে প্রবেশ নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়। এমনকি তার ছেলেদের হত্যার চেষ্টাও করা হয়। দীর্ঘ ২০ বছর তিনি নির্বাসনে কাটিয়েছেন। সেই নির্বাসন থেকে তিনি আর কখনোই তার প্রিয় জন্ম স্থান ফ্লোরেন্সে ফিরে যেতে পারেননি। ২০ বছরের সেই নির্বাসিত জীবন তাকে অতিবাহিত করতে হয়েছিল ছন্নছাড়ার মতো নানা জায়গায় ঘুরে ঘুরে। ত্রেভিজো, লুচ্চা, পাদুয়া, ভেরোনো, রাভেন্না, তাসকানি, ভেনিস, মিলান এবং আরো বহু জায়গায় তিনি ঘুরে বেড়িয়েছেন যাযাবরের মতো।

বেঁচে থাকার জন্য নানা জীবিকা বেছে নিতে হয়েছে তাকে। কখনো ছাত্র পড়িয়েছেন, কখনো অলঙ্কারশাস্ত্র সম্পর্কে ভাষণ দিয়েছেন, কখনো বড়লোক জমিদারদের মজলিস আলো করেছেন। নির্বাসিত দান্তে আর কখনো ফিরতে পারেননি তার প্রিয় জন্মশহর ফ্লোরেন্সে তাকে ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছিল। তবে অনমনীয় ব্যক্তিত্বসম্পন্ন দান্তে ক্ষমার বিনিময়ে ফ্লোরেন্সে ফিরতে চাননি। দারিদ্র্য আর জেদকে সঙ্গী করে বেঁচেছিলেন বাকি জীবন।

তিনি বলেছিলেন, ' এই উদার আকাশের নীচে যে কোনো মৃত্তিকায় আমি কি সত্যের ধ্যান করতে পারব না? তা হলে কীসের জন্য ফ্লোরেন্স আর ফ্লোরেন্সবাসীর কাছে মানসম্মান-খ্যাতি সব বিসর্জন দিয়ে আমাকে দেশে ফিরতে হবে?' তবে দান্তে মারা যাওয়ার পর ফ্লোরেন্সের মানুষ আস্তে আস্তে অনুভব করেছিল, কাকে তারা উপেক্ষায় আর অবহেলায় মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছিল। গভীর অনুতাপে কয়েক শতাব্দী ধরে তারা রাভেন্না শহরের কাছে আবেদন জানায় মহাকবি দান্তের পবিত্র কবর তাদের ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য। তারা নিজেদের মাটির সন্তানকে নিজেদের দেশে নিয়ে গিয়ে সমাহিত করতে চায়। তবে তাদের আবেদনে কখনই সাড়া দেয়নি রাভেন্নাবাসীরা।

দান্তের নশ্বর দেহ এখনও শায়িত আছে বিপন্ন দিনের শেষ আশ্রয় রাভেন্নায়। মহাকবি দান্তের মৃত্যুর দীর্ঘকাল পরেও এখনও সগৌরবে উজ্জ্বল হয়ে আছে তার সাহিত্যসৃষ্টি, বিশেষত তার অবিস্মরণীয় কীর্তি ‘ডিভাইন কমেডি’ও অবিনশ্বর নারী বিয়াত্রিচে।


উইমেনআই২৪ডটকম//এসএল//
 

 

স্বর্ণের দাম কমলো

তাপপ্রবাহে স্কুল-কলেজের ছুটি ৭ দিন বাড়ল

অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি বিএনপি নেতা মিন্টু

ইন্টারনেট স্বাভাবিক হতে আরো সময় লাগবে

সাংবাদিকের প্রশ্নে অবাক অপু বিশ্বাস

নাগরিকের তথ্যভাণ্ডার নিয়ে বিটিআরসির সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি

হজ প্যাকেজের খরচ কমলো

চাঁদপুরে লঞ্চে আগুন, হুড়োহুড়িতে আহত ৭

তীব্র দাবদাহে প্রাথমিকে অ্যাসেম্বলি বন্ধ

ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪০৭

প্রাথমিকের শিক্ষকদের আবারো অনলাইনে বদলির সুযোগ

কানাডায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস পালিত

পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার রেকর্ড ২৭ বস্তা টাকা

গরমে প্রশান্তি দেবে যেসব পানীয়

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নেতৃত্বে মিশা-ডিপজল